বরখাস্ত
রংপুর কারাগারে কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা, ২ কারারক্ষী বরখাস্ত
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বাহারাম বাদশা নামে একজন কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহ করেছেন অন্য কয়েদিরা। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টায় ঘটনাটি ঘটে।
বাহারাম পীরগঞ্জ উপজেলার বকেরবাড়ি এলাকার বাহাদুর মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: জামালপুর কারাগারে সংঘর্ষে ৬ বন্দি নিহত
কারা সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাহারাম ও রফিকুলের মধ্যে গাছ থেকে আমড়া পাড়া নিয়ে মারামারি হয়। একপর্যায়ে বাহারাম গুরুতর আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বাহারামের মৃত্যুর খবর কারাগারে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় বাহারামের অপর তিন ভাইসহ অন্য কয়েদিরা বিক্ষোভ শুরু করে কারা ফটকে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে রফিকুলের পক্ষের কয়েদিদের সঙ্গে বাহারামের ভাইসহ তাদের পক্ষের কয়েদিদের হাতাহাতি শুরু হয়। বাহারুলের মৃত্যুকে ইস্যু করে কারাগারের ভেতরে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেয় কয়েদিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে কারারক্ষীদের সঙ্গে কয়েদিদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান ও ৬৬ পদাধিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা কারাগারের ভেতরে ছুটে যান।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- শাহজাহান ও মোতালেব।’
এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান রংপুর জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা’
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের বিদ্রোহ, ব্যাপক গোলাগুলি
৩ মাস আগে
নরসিংদী কারাগারের ৬৮ কারারক্ষী বরখাস্ত
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দেশজুড়ে সহিংসতার মাঝে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগের পর কয়েদি পালিয়ে যাওয়া এবং অস্ত্র ও গুলি লুটের ঘটনায় জেলা কারাগারের ৬৮ জন কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে সহিংসতায় ১১ মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ১৮৪: পুলিশ সুপার
এর আগে, ২৩ জুলাই নরসিংদী জেলা করাগারের জেল সুপার আব্দুল কালাম আজাদ ও জেলার কামরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে, আসামিরা যাতে আত্মসর্মপণ করেন, সেজন্য ২১ জুলাই রাত থেকে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১১ দিনে মোট ৫৭৫ জন পলাতক বন্দী নরসিংদীর আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন। এছাড়া লুট হওয়া ৮৫টি অস্ত্রের মধ্যে ৪৯টি অস্ত্র ও ১ হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকালে জেলা কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জেলখানায় থাকা ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ জন বন্দী পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নরসিংদী জেলা কারাগারের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে: তদন্ত কমিটির প্রধান
৩ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জে পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫ পুলিশ বরখাস্ত
যে কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
গত বৃহস্পতিবার(১৩ জুন) নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার(১৫ জুন) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী যানবাহন থামানো যাবে না: আইজিপি
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে কোরবানির পশুবাহী গাড়ি থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের চাঁদা আদায়ের খবর প্রচারের পরপরই ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি)।
বরখাস্তরা হলেন- এসআই (নিরস্ত্র) শেখ নজরুল ইসলাম, এসআই (অস্ত্র) আসাদুজ্জামান এবং তিন কনস্টেবল নাজির শেখ, যুগল মণ্ডল ও তানভীর হোসেন আকাশ।
ঘটনা তদন্তে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (অপরাধ) প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোরবানির পশুর হাটে কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। যেই দোষী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
৫ মাস আগে
ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি ইয়াজদানির বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে বাতিল
ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১০ জুন) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবীর পল্লব।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট চূড়ান্ত শুনানি করে ইয়াজদানিকে বরখাস্ত করে ওয়াসা বোর্ডের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ২২ জুন ইয়াজদানিকে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের ৩০৫তম সভায় বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
এরপর ওই বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ইয়াজদানি। পরে রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ জুলাই কেন ইয়াজদানিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
সেই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে সোমবার রায় দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৬ মে ড. গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে ডিএমডি (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) পদে নিয়োগ দেয় ওয়াসা বোর্ড। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী একজন ডিএমডির ৩ বছর দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সে অনুযায়ী ২০২৫ সালের ১৫ মে পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালন করার কথা।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
৫ মাস আগে
প্রেমিক যুগলকে নির্যাতন: ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গায় বিয়ে বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগ তুলে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও এক পুরুষকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা-১ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে এবং রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব আনিসুজ্জামান ওই আদেশে সই করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাতকড়াসহ ২ আসামির পলায়ন, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা খাসকররা ইউনিয়নের তিওরবিলা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের অভিযোগ তুলে তাদের গলায় জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন করেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা আদালতে গৃহীত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান মল্লিককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা ১ এ সংক্রান্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেহেতু খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা আলমডাঙ্গা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে। চুয়াডাঙার আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই মামলা আমলে নিয়েছেণ। একারণে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯- এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছেন জেলা প্রশাসক। ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতার অপ্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় বলে আদেশে বলা হয়েছে।
তাই চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসীর আহমেদ মল্লিক লাল যে অপরাধ করেছেন, তা ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী। এ বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) শারমিন আক্তার বলেছেন, খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর জন্যও বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় কারণ দর্শানোর পর সন্তুষ্ট না হলে স্থায়ী বহিষ্কারও করতে পারেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
ফেনীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: দুই গেটম্যান বরখাস্ত
৬ মাস আগে
ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুল কাদের সেখকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।
আব্দুল কাদের সেখ ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং টানা তৃতীয়বারের মতো পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
গত ২৯ এপ্রিল জামালপুর জেলার ইসলামপুর পৌরসভার সরকারি গুদামের মালামাল লুটসহ বিভিন্ন অভিযোগে মেয়র মো. আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে উক্ত পৌরসভার ১১ জন কাউন্সিলর অভিযোগে করেন। স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগগুলো তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১(১) অনুযায়ী— পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ইসলামপুর পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে আব্দুল কাদের শেখকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
পরে ওই বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আব্দুল কাদের শেখ।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
৬ মাস আগে
ফেনীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: দুই গেটম্যান বরখাস্ত
ফেনীর মুহুরীগঞ্জে বালুবোঝাই ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় দুই গেটম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) রিটন চাকমা।
বরখাস্ত দুইজন হলেন- মো. সাইফুল ও মো. রাশেদ খান। তাদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ জানতে রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনিসুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবদুল হানিফ, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) সাজিদ হাসান নির্জর, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমানডেন্ট রেজানুর রহমান, রেলওয়ের বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন এবং বিভাগীয় টেলিযোগাযোগ ও সংকেত প্রকৌশলী জাহেদ আরেফিন তন্ময়।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। দুর্ঘটনার সময় সিগন্যাল বারটি ফেলা হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনীর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন ক্রসিং এ চট্টগ্রামগামী একটি মেইল ট্রেন বালুবাহী ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়। এরমধ্যে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে থাকা তিনযাত্রী যুবক, ট্রাক চালক, সহকারী ও চালকের ছেলে মারা যান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাতকড়াসহ ২ আসামির পলায়ন, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষক শাহেদ ইমনকে বরখাস্ত ও চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি
৭ মাস আগে
দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতির নোটিশ
দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতির নোটিশ দিয়েছে ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষ। নোটিশ দ্রুতই কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।
মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারের ইংরেজি ও বাংলা অনলাইন সংস্করণে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।
আসফাকুলের নবম তলার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পড়ে ১৫ বছর বয়সী গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর দুই মাস পর এই পদক্ষেপ নিল ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষ।
বহুতল ভবনের নিচ থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রীতিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার ও স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় বিক্ষোভও করেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের রিমান্ডে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রী
প্রীতির বাবা লোকেশ উরাং বাদী হয়ে পরদিন মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় আশফাকুল ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার কারাগারে রয়েছেন। একাধিকবার তাদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আশফাকুল ১৯৯৩ সালে পত্রিকাটির ক্রীড়া বিভাগে যোগ দেন এবং ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ক্রীড়া সম্পাদক, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক এবং সর্বশেষ নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মীর মৃত্যু: রিমান্ড শেষে কারাগারে ডেইলি স্টারের সাংবাদিক ও তার স্ত্রী
৭ মাস আগে
বগুড়ায় হাতকড়াসহ ২ আসামির পলায়ন, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বগুড়া সদর থানার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে চোর সন্দেহে আটক দুই ব্যক্তি হাতকড়াসহ পালানোর ঘটনায় ওই ফাঁড়ির ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে পলাতক দু’জনের মধ্যে একজনকে রবিবার(২৪ মার্চ) রাতেই পুনরায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বরখাস্ত চার পুলিশ সদস্য হলেন, উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা, কনস্টেবল মাহবুব আলম, একরামুল হক ও মানিক রতন।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের সাজা বহাল
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইহান ওলিউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় সোমবার গ্রেপ্তার হওয়া একজনসহ দু’জনের নামে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
সদর থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ভোরে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সোহেল রানা, কনস্টেবল একরামুল হক ও মানিক রতন নিশিন্দারা এলজিইডি অফিসের সামনে জনগণের হাতে চোর সন্দেহে আটক মোহাম্মদ আলী ও মিঠু মিয়া ওরফে ফারুক নামে দুজনকে তাদের হেফাজতে নেন। পরে তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুই আসামিকে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে দায়িত্বরত কনস্টেবল মাহবুব আলমের হেফাজতে রাখা হয়। শনিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে হ্যান্ডকাফসহ আটক ওই দুই আসামি পালিয়ে যান। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রবিবার রাতে মোহাম্মদ আলীকে আদমদীঘি থেকে হাতকড়াসহ পুনরায় আটক করে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, পলাতক মিঠু মিয়া ও পুনরায় গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ আলীর নামে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাহমুদুর রশিদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশ সুপারের আদেশে রবিবার রাতে চার পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
হোয়াটসঅ্যাপে আরও সহজে অডিও বার্তা যেভাবে পাঠাবেন
৭ মাস আগে
শ্রেণিকক্ষে গুলি: সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজের প্রভাষক বরখাস্ত
ক্লাসরুমে গুলি করার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বুধবার(৬ মার্চ) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএনবিকে জানিয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আমিরুল হোসেন।
মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের একটি আদালত ডা. রায়হানকে কারাগারে পাঠান।
মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক বিল্লাল হোসেনের আদালতে রায়হানকে হাজির করার পর এ রায় দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ব্যাপক নিন্দার ঝড় উঠলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গুলির ঘটনা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে যায় কমিটি।
এ ঘটনায় শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা সিরাজগঞ্জ-বগুড়া-৪ লেন মহাসড়কে ডা. রায়হানকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত ও কঠোর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের গুলিতে মেডিকেল ছাত্র গুলিবিদ্ধ
তাদের দাবি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধন বাতিল, অভিযুক্তকে তার শিক্ষকের পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থীরা। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত দলের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
গুলিবিদ্ধ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। সোমবার বিকালে ক্লাস চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। পরে তমালকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ডা. রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার আগ্নেয়াস্ত্রটি জব্দ করে পুলিশ।
স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ডা. রায়হান শরীফ অস্ত্র ও ছুরি বহনের জন্য পরিচিত ছিলেন, যা তিনি বক্তব্যের সময় প্রকাশ্যে প্রদর্শন করতেন। শরীফ যখনই শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে তাদের উপস্থিতির বিরোধিতা করে তখনই তারা এই অস্ত্র দিয়ে হুমকি দেয় বলে জানা গেছে।
সোমবার পরীক্ষা চলাকালে তমালকে গালিগালাজ করার পর ডা. রায়হান তাকে গুলি করলে ওই শিক্ষার্থী আহত হয়। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি অবৈধ, যার ফলে ডা. রায়হানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অতিরিক্ত অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় মামলা
৮ মাস আগে