বরখাস্ত
পিআইবি পরিচালক শাখাওয়াত মুন বরখাস্ত
প্রাথমিক তদন্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ শাখার পরিচালক কে এম শাখাওয়াত মুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব ছিলেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ পুলিশের ১৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মুনের বিরুদ্ধে আনীত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট-এর চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৮৮ এর বিধি ৩৯(১) অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি প্রচলিত বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন।
শাখাওয়াত মুন বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) নির্বাহী প্রযোজক (অনুষ্ঠান) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
৯৩ দিন আগে
বেরোবির দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, ‘একজন’ বরখাস্ত
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যৌন হয়রানির অভিযোগে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে একই অভিযোগে অভিযুক্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. তানজিউল ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধে এখনও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিচার বৈষম্যের অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ জুলাই) রাতে শিক্ষার্থীরা ইউএনবিকে জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা আন্দোলনে নামবেন।
শিক্ষার্থী সুমন, জুয়েল ও মেহেরা আফরোজের অভিযোগ, উপাচার্য বিমাতাসুলভ আচরণ করছেন এবং অভিযুক্ত তানজিউল ইসলামকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, তবে আমরা তা কোনোদিনই হতে দেব না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পরিসংখ্যান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৩শ সভার সিদ্ধান্তক্রমে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৩ আগস্ট রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদের সই করা এক আদেশের মাধ্যমে তার বরখাস্তের বিষয়েটি জানানো হয়।
বেরোবি সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথমে ওই শিক্ষককে ক্লাস ও পরীক্ষা থেকে এক বছরের জন্য বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়— এমন তথ্য জানাজানি হলে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে উপাচার্যের কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ কয়েকবার সময় নিয়েও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দেন। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ওই শিক্ষককে বহিষ্কারের খবর জানানো হয়।
তবে প্রায় একই সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ড. তানজিউল ইসলামের বিরুদ্ধেও পরীক্ষায় নম্বর দেওয়া নিয়ে কারসাজি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপও ছড়িয়ে পড়ে। তাই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তবে চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি শিক্ষক জীবনের বিরুদ্ধে তেমন কিছু খুঁজে পায়নি— এই মর্মে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কিন্তু এত তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও তদন্ত কমিটির কোনো কিছু খুঁজে না পাওয়া সন্দেহজনক।
সূত্র বলছে, তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষক জীবনকে তার অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে এবং আগামী যেকোনো সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত পাস করিয়ে নেওয়া হবে।
এ খবর জেনে ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকেই বলছেন, এই শিক্ষক বিএনপিপন্থি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ভিসির সঙ্গে সখ্যকে কাজে লাগিয়ে তিনি তদন্তকাজ প্রভাবিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বেরোবি প্রশাসনকে ‘শাড়ি-চুড়ি’ দিল শিক্ষার্থীরা
এ ছাড়াও প্রভাবশালী পরিচয়, প্রশাসনের ঘনিষ্ঠতা কিংবা গোপন সমঝোতার জেরে তানজিউল ইসলাম রেহাই পেয়ে যাচ্ছেন বলেও দাবি অনেকের। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় নিষ্পত্তিমূলক তদন্ত ও সমান বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে ড. তানজিউল ইসলাম জীবনের বিপক্ষে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষক আমির বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটি গঠন হওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন কবে এটি প্রকাশ করবে তা উপাচার্য জানেন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো শওকত আলী বলেন, ‘আমরা একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। সিন্ডিকেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করেছি।’
একই অভিযোগ, একই তদন্ত কমিটি। তাহলে একটির ফল সাময়িক বহিষ্কার, অথচ অন্যজন এখনো বহাল— এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা সামনের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এটা তুলব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। এসব বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স।’
১২১ দিন আগে
বিএসইসির ২১ কর্মকর্তা বরখাস্ত, ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান চেয়ারম্যানের
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। পরবর্তীতে কমিশনের সবাইকে নিয়ে সভা করে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জরুরি সভা করে বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সভায় গত ৫ মার্চ বিএসইসিতে যারা চেয়ারম্যান, কমিশনার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আটকে রেখে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে তাদের তালিকা ধরে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিএসইসি এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বরখাস্তরা জানান, আগে পিছে এ নিয়ে তাদের কিছু জানানো হয়নি। অফিসে এসে খবর পেয়েছেন তারা।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম, পরিচালক আবু রায়হান, মো. মোহতাছিন বিল্লা, অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম, উপপরিচালক বনী ইয়ামিন, আল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক জনি হোসেন, রায়হান কবীর, সাজ্জাদ হোসেন ও আবদুল বাতেন, লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ।
এর বাইরে রয়েছেন পরিচালক আবুল হাসান ও ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপপরিচালক নান্নু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান, তরিকুল ইসলাম ও সমির ঘোষ।
আরও পড়ুন: রূপপুর ‘দুর্নীতি’: প্রচ্ছায়ার ৮ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৫ মার্চ সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার দফা দাবিতে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এ ঘটনায় পরদিন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সংস্থাটির ১৬ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে মামলা করে বিএসইসির চেয়ারম্যানের গানম্যান আশিকুর রহমান। যারা বরখাস্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ১৪ জন এ মামলায় অভিযুক্ত।
এদিকে বরখাস্তের ঘোষণার পর কমিশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জরুরি সভা করেছেন রাশেদ মাকসুদ। সভায় তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বলেন, চলমান যে-সব বিষয় নিয়ে বিবাদ আছে তা শিগগিরই সুরাহা করা হবে। দেশের পুঁজিবাজারকে সচল রাখতে নতুন উদ্যোমে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।
২১৮ দিন আগে
সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক বরখাস্ত
কূটনৈতিক পাসপোর্টকে রাতারাতি অর্ডিনারি পাসপোর্ট করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুলাই হামলা: জাবিতে ২৫৯ ছাত্রলীগকর্মী ও ৯ শিক্ষক বরখাস্ত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিলেট বিভাগের পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৩৯ ধারার উপবিধি ২-এর বিধান অনুযায়ী তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, রাতারাতি কূটনৈতিক পাসপোর্টকে অর্ডিনারি পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়াসহ আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
২২০ দিন আগে
গাজা বিক্ষোভ: শিক্ষার্থীদের ‘ডাবল অ্যাবসেন্টের’ হুমকি, ড্যাফোডিল শিক্ষিকা বরখাস্ত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ডাকা কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিলে তাদের ‘ডাবল অ্যাবসেন্ট’ দেওয়ার ঘোষণা দেন বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। পরে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে সোমবার (৭ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন ভাষায় কথা বলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রভাষক তাহমিনা রহমান। যারা বিক্ষোভে অংশ নেবেন, তাদের ‘ডাবল অ্যাবসেন্ট’ করে দেবেন বলেও তিনি হুমকি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে রকেট হামলা চালালো হামাস, আহত ৩
ডিআইইউর মুখপাত্র এবং এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু এমন তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে তাহমিনা রহমানকে প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে তাকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে।’
রাজু জানান, ‘তাহমিনা হোয়াটস্যাপ গ্রুপে শিক্ষার্থীদের বলছেন যে গাজার গণহত্যার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ক্লাসে না এলে ডাবল অ্যাবসেন্ট দেবেন। প্রথমত বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছে, সেখানে তিনি আলাদা করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন না। আবার ক্লাস উপস্থিতি যদি কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকেন, তাহলে সর্বোচ্চ একটি উপস্থিতি কাটতে পারবেন। ডাবল অ্যাবসেন্ট দেয়ার যে হুমকি তিনি শিক্ষার্থীদের দিয়েছেন, তা নিয়মবহির্ভূত।’
এর বাইরে সেই গ্রুপে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি যে ভাষায় কথা বলেছেন এবং যেসব শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা একজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক হিসেবে শোভনীয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবহির্ভূত এসব আচারণের কারণেই তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র।
এর আগে রোববার (৬ এপ্রিল) সারাবিশ্ব এবং দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরাও ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ পালনের সিদ্ধান্ত নেন। সে হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সোমবার ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিলে প্রভাষক তাহমিনা তাদের ডাবল অ্যাবসেন্ট দেয়ার হুমকি দেন এবং গাজার প্রতি সংহতি জানানো এসব কর্মসূচি নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে, নিজ ভূমিতে পরবাসী ফিলিস্তিনিরা
তার হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে এই শিক্ষিকাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির সঙ্গে তারা একাত্মতা ঘোষণা করেছেন আগেই। কেন এই শিক্ষিকা এমন আচারণ করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে?
ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে তাহমিনা নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান। বলেন, ‘তিনি অনলাইন ক্লাস নিতে চেয়েছিলেন। কর্মসূচির পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারতো। পুরো ঘটনাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেন এ প্রভাষক।’
২৪১ দিন আগে
আসনবিহিন টিকিট কেটে ‘বসে যাওয়ার অপরাধে’ বৃদ্ধকে মারধর: ট্রেনের কর্মকর্তা বরখাস্ত
আসনবিহিন টিকিট কেটে ‘বসে যাওয়ার অপরাধে’ ট্রেনযাত্রী এক বৃদ্ধকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত রেলওয়ের কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ওই বৃদ্ধের এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে ট্রেন আটকায়। পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে অভিযুক্তকে বরখাস্ত করা হয়।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার। রবিবার (৩০ মার্চ) বিকাল আড়াইটার দিকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। পরে কসবা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
কসবা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গতকাল (রবিবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন ৬২ বছর বয়সী উপজেলার সায়েদাবাদ এলাকার বাসিন্দা ফুল মিয়া। কসবা স্টেশন পর্যন্ত আসনবিহীন একটি টিকিট কেটে ট্রেনের পাওয়ার কার বগিতে অবস্থান করেন তিনি। একপর্যায়ে ফাঁকা জায়গা পেয়ে সেখানে বসেও পড়েন।
বেলা আড়াইটার দিকে ট্রেনটি ফেনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনের পাওয়ার কার অপারেটর কাউসার মিয়া এগিয়ে গিয়ে ফুল মিয়ার কাছে টিকিট আছে কিনা জানতে চান। সে সময় আসনবিহীন টিকিট আছে বলে জানান তিনি। আসনবিহীন টিকিট কেটে বসে পড়ার অপরাধে তার কাছে ২০০ টাকা জরিমানা চান কাউসার। টাকা না দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় অপমানজনক কথাবার্তার একপর্যায়ে বৃদ্ধ ফুল মিয়াকে মারধর শুরু করেন তিনি।
এ ঘটনার কথা ফুল মিয়ার কাছ থেকে কসবারই আরেক যাত্রী শুনে তার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভিডিওটি কসবার স্থানীয় জনগণের মাঝে মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা কসবা রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নেন। পরে ট্রেনটি কসবা স্টেশনে পৌঁছালে সেটিকে আটকে দেন স্থানীয়রা।
এরপর ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অভিযোগ শুনে পাওয়ার কার অপারেটর কাউসার মিয়াকে আটক করেন ট্রেনের গার্ড।
তবে স্থানীয় জনতার রোষ না কমলে একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছামিউল ইসলাম, স্থানীয় থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা কসবা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ সময় কাউসার ফুল মিয়ার কাছে ক্ষমা চান। পরে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে জানালে বিকাল ৫টার দিকে স্টেশন ছেড়ে দেন স্থানীয়রা।
ইউএনও ছামিউল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ট্রেনের ওই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ খবরে উত্তেজিত জনতা শান্ত হলে ট্রেনটি নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে কসবা স্টেশন ছেড়ে যায়।’
২৪৯ দিন আগে
মুক্তিপণ আদায়, ডিবির ৫ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে আরএমপি
বগুড়ায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান এ সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, ‘তারা কোনো অভিযানে যায়নি বা কাউকে জানিয়েও যায়নি। নিজেদের ইচ্ছায় গিয়েছে এবং সেখানে আটক হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিকালে আমি তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এখন তদন্ত হবে, এরপর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- আরএমপির গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম ও বাশির আলী। এছাড়া, তাদের সঙ্গে থাকা মাইক্রোবাসচালক মেহেদী হাসানকেও আটক করা হয়েছে।
নগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল বলেন, ওই পাঁচ পুলিশ সদস্য আরএমপির ডিবিতে কর্মরত। গতরাতে আমি রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম, কিন্তু তারা আমাকে কিছু না জানিয়েই বগুড়া গেছে। কেন গিয়েছে, তা তারাই ভালো বলতে পারবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ২ কিশোর অপহরণ, মুক্তিপণ নিয়ে পালানোর সময় গ্রেপ্তার ৬
জানা যায়, বগুড়ার কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের বীরগ্রাম এলাকা থেকে পাঁচজন পুলিশ সদস্য ও তাদের মাইক্রোবাসচালককে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ টাকা ও পুলিশের একটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়।
বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসা জানান, অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য রবিবার ধুনট উপজেলায় গিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগে দীঘরকান্দি গ্রামের রাব্বী ও জাহাঙ্গীর নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেন। এরপর শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় গাড়ি থামিয়ে তাদের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দর-কষাকষির পর নগদ ২ লাখ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে বগুড়া জেলা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে শেরপুর ও শাজাহানপুর থানার সহযোগিতায় মাইক্রোবাসটি আটক করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় শাজাহানপুর থানার বীরগ্রাম এলাকায় গাড়িটি আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্তদের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেছেন আরএমপির গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত আবদুল ওয়াহাব নামে এক পুলিশ সদস্য। তিনি ছুটি নিয়ে দুই দিন আগে বগুড়ার ধুনটে নিজ গ্রামে যান। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওই পাঁচজন সেখানে গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
২৫৫ দিন আগে
ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার বরখাস্ত
মৌখিক বা লিখিতভাবে অবহিত না করে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সাময়িক বহিস্কার হয়েছেন ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকার।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশে প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতি: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ভাইয়ের কারাদণ্ড
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে হতে কর্তৃপক্ষকে অবগত না করে করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ২ (চ) বিধি অনুসারে বিপ্লব কুমার সরকারকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি'র কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২৮৪ দিন আগে
শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুদ্ধবিমানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান ও চার তারকাবিশিষ্ট পাইলট সি কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করে এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তর পেন্টাগনে যে অস্থিরতা চলছে, তার সর্বশেষ ঘটনা এটি।
শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) এক ঘোষণার মাধ্যমে জেনারেল ব্রাউনকে অপসারণ করে বিমানবাহিনীর তিন তারকাবিশিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ড্যান কেইনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, এই সিদ্ধান্ত পেন্টাগনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ যাকে অপসারণ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করা দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি তিনি। বাইডেন প্রশাসনের সময়ে এ পদে নিয়োজিত হয় ব্রাউন।
একজন সম্মানিত ও দায়িত্বশীল পাইলটকে অপসারণের এ সিদ্ধান্তকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের চলমান বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচিতে (ডিইআই) নিয়োজিত সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার প্রকল্পের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্যা ও ঝড়ে ৯ জনের মৃত্যু
স্থানীয় সময় শুক্রবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে ৪০ বছরে সেবা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প। এ সময়কে ব্রাউনকে তিনি একজন ভদ্রলোক ও অসাধারণ নেতা হিসেবে অভিহিত করে তাকে ও তার পরিবারকে শুভকামনা জানান।
ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথকে আরও পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের পুলিশি হত্যার পর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনে প্রকাশ্য সমর্থন দেওয়ায় ব্রাউন সামরিক বাহিনীতে লক্ষ্যবস্তু হয়। সামাজিক ন্যায়বিচার, বর্ণবাদ ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সামারিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের বিরোধীতাকারী ট্রাম্প প্রশাসন।
পেন্টাগন আগামী সপ্তাহ থেকে ৫ হাজার ৪০০ জন বেসামরিক প্রবেশনারি কর্মী ছাঁটাই করার পাশাপাশি আগামী বছর বাতিল করা যেতে পারে এমন ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের কর্মসূচি চিহ্নিত করার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
শুক্রবার এক বিবৃতির মাধ্যমে জেনারেল ব্রাউনের পাশাপাশি নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টি ও বিমান বাহিনীর উপপ্রধান জেনারেল জেমস স্লিফকে বরখাস্তের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
নৌবাহিনীর প্রধান লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এবং নৌবাহিনীর প্রথম নারী প্রধান ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের আকাশছোঁয়া দাম
জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি শুনানিতেই ব্রাউনকে অপসারণ করার ব্যাপারে শঙ্কা তৈরি হয়। তাকে বরখাস্ত করা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেগসেথ বলেন, ‘সব সিনিয়র কর্মকর্তাকে যোগ্যতা, যুদ্ধক্ষমতা ও আইনের আদেশ পালনে তাদের অঙ্গীকারের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।’ ব্রাউনের মনোযোগ ডিইআই-এ সামরিক দায়িত্বের চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
হেগসেথ এর আগেও ব্রাউনকে লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন। নভেম্বরে এক অনুষ্ঠারে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘সবার আগে আপনাকে জয়েন্ট চিফসের চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করতে হবে।’
এছাড়া তার এক বইয়ে কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার কারণেই ব্রাউন এই পদ পেয়েছিলেন কিনা সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন হেগসেথ।
২৮৬ দিন আগে
রাবির দুই শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিভিন্ন ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদারের পাঠানো পৃথক তিনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত দুই শিক্ষককে চূড়ান্ত শাস্তি দিতে কমিটি গঠন হয়েছে। এছাড়া সাবেক এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বহাল, এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার ও তিন শিক্ষককে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল রাখা হয়েছে।
এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর আইনের ৫৫ (৩) ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত শাস্তি দিতে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের স্নাতকোত্তরের নিবন্ধন বাতিলের মাধ্যমে ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে তার ছাত্রত্ব পুনর্বহাল ও তার পরীক্ষার অপ্রকাশিত ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ৪৬১তম সভায় রফিকুলের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত এনবিআর কমিশনার মাহবুবুর
জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকারের প্রসঙ্গে ৪৬১তম সিন্ডিকেট সভার ১৩৭ নম্বর সিদ্ধান্ত বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকার কুটকৌশলের কারণে বিনা অপরাধে সাজা ভোগ করেছেন প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের শিক্ষক আব্দুল হক, আলী আকবর ও আশরাফুজ্জামান খানকে আগামী পাঁচ বছর পরীক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই সিদ্ধান্তে অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সিন্ডিকেট তার প্রতি গভীর সমবেদনা জানায়।
২৯০ দিন আগে