হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আদেশ দেন।
তিতাস গ্যাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন তৈমুর আলম খন্দকার।
ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘আমরা শুধু হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেছি। এতে পাঁচ লাখ টাকার আদেশের অংশ স্থগিত চেয়েছিলাম। আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।’
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দিয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট বিভাগ। ৭ দিনের মধ্যে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে এ টাকা নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে দিতে বলা হয়। জেলা প্রশাসককে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এ টাকা বিতরণ করতে বলা হয়।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর নিহত ও দগ্ধ প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকার।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রুলে দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাজউক, ডিপিডিসি, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও এসপি, মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার একটি মসজিদে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন অর্ধশতাধিক মুসল্লি। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিস্ফোরণে দগ্ধ মামুন নামে এক রোগীকে সবশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।