মৎস্য অধিদপ্তরে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নের ২২ দিন দেশের আট বিভাগে ২,৬৪০টি মোবাইল কোর্ট ও ১৯,৮১৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানে ২৪৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৪ হাজার টাকা মূল্যের ১২ কোটি ৯১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্যের কারেন্ট জালসহ ২,৬৮৫টি অন্যান্য অবৈধ জাল আটক করা হয়েছে। এ সময় অবৈধভাবে মৎস্য আহরণের কারণে মৎস্য আইনের আওতায় ৫,৫৩৩ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে এবং ৯০ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ৬৯০৪ টি।
এছাড়া অবৈধভাবে আহরিত ৪৫.৪১ মেট্টিক টন ইলিশ মাছ জব্দ এবং নৌকা ও জাল নিলামে সরকারের আয় হয়েছে ১৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের দিক-নির্দেশনায় ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের তত্ত্বাবধানে এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন ইলিশ সম্পৃক্ত ৩৬ জেলার জেলা প্রশাসক, ১৫২ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নৌপুলিশ, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, র্যাব, বিজিবিসহ স্বেচ্ছাসেবী নানা সংগঠন ও ব্যক্তিরা।
অভিযানের প্রথম দিন গত ১৪ অক্টোবর মা ইলিশ রক্ষায় জেলে ও মৎস্যজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করতে নৌপথে অভিযানে অংশ নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে সরকার। এই ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় ছিল আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।