মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর এবং মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরেন শিকদারসহ ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনা-সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেনের পরিবারের কেউ মামলা করতে রাজি না হওয়ায় মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের উত্তর বীরপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।’
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থী ফরহাদ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। আন্দোলনে তিনি প্রথম থেকেই অংশ নিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট ফরহাদ আরও কয়েক বন্ধুকে নিয়ে মাগুরা শহরে মিছিলে অংশ নেন। দুপুরের পর তারা মিছিলটি নিয়ে শহরের পারনান্দুয়ালী সেতুর ওপর পৌঁছলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ফরহাদ। পরে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
তবে মামলা সম্পর্কে নিহতের পরিবারের কারো সঙ্গে জামাল হোসেনের কোনো কথা হয়নি বলেও পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নিহত ফরহাদের বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমার ভাই মারা গেছে। মামলা দায়েরের পর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হোক এটি চাই না বলেই মামলার প্রতি আমাদের আগ্রহ নেই। কিন্তু ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হলেও জামাল হোসেনের সঙ্গে আমাদের কোনো কথা হয়নি। তাকে চিনিও না।’
মামলার বিষয়ে জামাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেহেদী রাসেল বলেন, জামাল হোসেন ও শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন একই সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন। সেখানে আসামিদের ছোড়া ককটেলে জামাল হোসেন পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন।’