এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বন্যপ্রাণী ও বন আইনে বাগেরহাট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার গভীর রাতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বাগেরহাটের মংলা উপজেলাধীন কাগার ভাড়ানী এলাকা থেকে জবাই করা ওই হরিণসহ পাশগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এঘটনার সাথে জড়িত হরিণ শিকারিচক্রের কাউকে আটক করতে পারেনি বন বিভাগ।
সুন্দরবনের চরাপুটিয়া ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন জানান, বন বিভাগের সদস্যরা সুন্দরবনে নিয়মিত টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় তারা বনের কাগার ভাড়ানী খালে একটি নৌকা দেখতে পায়। কাছে গিয়ে ওই নৌকায় কাউকে না দেখে তাদের সন্দেহ হলে বনের মধ্যে তল্লাশি চালিয়ে জবাই করা অবস্থায় একটি হরিণ এবং হরিণ শিকারের কাজে ব্যবহৃত ২০০ পিস ফাঁদ উদ্ধার করে। এছাড়া ওই নৌকায় তল্লাশি করে তিনজন জেলের মাছ ধরার পাসও পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, জবাই করা চিত্রল ওই মায়া হরিণটির ওজন প্রায় ২২ কেজি। উচ্চতা ৩১ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য ৫৬ ইঞ্চি। হরিণের পেটে বাচ্চা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিকারি চক্র হরিণটি শিকার করার পর জবাই করে চামড়া তুলছিল। টহল টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে জবাই করা হরিণ ফেলে তারা পালিয়ে গেছে।
মো. ইসমাইল হোসেনের অভিযোগ, বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপাই গ্রামের হাকিম হাওলাদারের তিন ছেলে ইসমাই হাওলাদার, ইকলাস হাওলাদার এবং ইয়াসিন হাওলাদার ১৫ জানুয়ারি সুন্দরবনের চাঁদপাই স্টেশন থেকে মাছ ধরার পাস নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। জব্দ করা নৌকা থেকে ওই তিন ভাইয়ের নামে বন বিভাগের ইস্যু করা পাশ উদ্ধার করা হয়। তারাই হরিণ শিকার করেছে বলে তার দাবি।
প্রসঙ্গত, সুন্দরবন লাগোয়া, বাগেরহাটের মংলা, মোড়েলগঞ্জ এবং শরণখোলা উপজেলায় হরিণ শিকারীচক্রের বেশ কিছু সদস্য সক্রিয় রয়েছে। তারা প্রায়াই চোরাইভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার করার পর মাংস লোকালয়ে এনে বিক্রি করে। মাঝে মধ্যে বন বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে হরিণের মাংস, চামড়া এবং মাথা উদ্ধার হলেও শিকারি চক্র রয়ে যায় ধরা ছোঁড়ার বাইরে।