আসামিদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত চার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রঞ্জু মিয়া, রাজাকার কমান্ডার আবদুল জব্বার (৮৬), মো. জাফিজার রহমান খোকা (৬৪), মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল (৬২) ও মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ (৬৮)

মামলায় মোট ছয়জন আসামির মধ্যে আজগর হোসেন খান নামে একজন মারা গেছেন। অপর আসামিদের মধ্যে মো. রঞ্জু মিয়া কারাগারে এবং অন্যরা পলাতক রয়েছেন

গত ২১ জুলাই এ মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। পরে গত সোমবার ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

এ মামলায় প্রসিকিউটর ছিলেন মোখলেসুর রহমান বাদল। তার সাথে ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হাসান।

আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ, ভয়-ভীতি এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ধর্মান্তর ও দেশান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়। যার সবগুলো প্রমাণিত হয়েছে।

জানা যায়, আসামিরা গাইবান্ধা সদরের নান্দিনা ও ফুলবাড়ি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সবাই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। তাদের মধ্যে জব্বার, খোকা ও ওয়াহেদ স্বাধীনতার আগে থেকেই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এদের মধ্যে জব্বার ও খোকা মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৯৭২ সালে গ্রেপ্তার হলেও তাদের কোনো বিচার হয়নি।

খোকার বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর কাফরুল থানার উত্তর ইব্রাহিমপুর। তিনি ১৯৭৫ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে অবসর নেন।

মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ ১৯৭৪ সালে কৃষি বিভাগে চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১২ সালে অবসর নেন বলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার অভিযোগে বলা হয়েছে।