দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ ফানাফিল্যা মামলাটি তদন্ত করে জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েসের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
৯ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করেছে আদালত।
এর আগে, ১২ জানুয়ারি দুদক ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক বাছিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এতে বলা হয়, দুর্নীতির মামলায় খালাস পেতে বরখাস্ত ডিআইজি দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ফানাফিল্যা ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছিল যে মিজান দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেতে বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ছিলেন ডিআইজি মিজান। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের নারী সংবাদ উপস্থাপককে হুমকি দেয়ার অভিযোগে গত বছরের ৯ জানুয়ারি তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
এছাড়া, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে জোর করে এক নারীকে বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে জুলাই মাসে ২৫ বছর বয়সী ওই নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন মিজান। পরে, তিনি ওই নারীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন এবং তিন সপ্তাহ পর্যন্ত জেলে রেখেছিলেন।
গত বছরের ২৪ জুন অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগপত্র অনুসারে, মিজানের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের তথ্য পেয়েছে দুদক।