সংবাদ সম্মেলনে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকার যে সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে তার ফল হলো জাতিসংঘ প্রতিবেদনটি।
‘এটা খুব স্বাভাবিক যে মিয়ানমার প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করবে, কিন্তু এতে কিছু যায় আসে না। প্রতিবেদনটি বিশ্বসভায় ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,’ যোগ করেন শাহরিয়ার।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া চতুর্থ বিমস্টেক সম্মেলন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুদিনের নেপাল সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জাতিসংঘ প্রতিবেদনের ভূয়সী প্রশংসা করে শাহরিয়ার বলেন, গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত যেসব প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে তার মধ্যে এটি সবচেয়ে ব্যাপক, বাস্তবিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং মিয়ানমারের মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রকৃতি তুলে ধরেছে। ২০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
‘রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল হলো এটি (জাতিসংঘ প্রতিবেদন)। এ বিষয়ে আমরা অবশ্যই সফল হয়েছি,’ দাবি করেন শাহরিয়ার।
তবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ তিনটি বিষয়ে কাজ করছে- মানবিক সহায়তা, প্রত্যাবাসন এবং রাখাইনে হওয়া অপরাধের বিচার। জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি এই তিন প্রক্রিয়া জোরদার করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শাহরিয়ার বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ধৈর্যের সাথে মিয়ানমারের সাথে কাজ করছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অক্ষত রেখেছে। আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশ তা বজায় রাখবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফরের পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাজ শুরু হয়েছে। তবে প্রত্যাবাসনের জন্য এখনো অনেক কিছু করতে হবে। ‘বাংলাদেশ দ্রুত প্রত্যাবাসন চায়, কিন্তু তা হতে হবে স্থায়ী। আর আমরা সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমস্টেক সম্মেলন পরবর্তী অধিবেশনে আলোচনার জন্য রোহিঙ্গাদের বিষয়টি উঠতে পারে। ‘যদি কোনো দেশ তা উত্থাপন করে তাহলে বাংলাদেশ খুশি হয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করবে।’
তবে তিনি জানান, মূল সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সম্ভাবনা নেই। কারণ সেখানে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনার বাধ্যবাধকতা নেই।