মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (১০ জানুয়ারি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, বাণী পাঠ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ বীর শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ২৩ বছরের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ও স্বাধীন বাংলার রূপকার হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অগ্রগণ্য ভূমিকা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা তুলে ধরেন।
১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতার প্রত্যাবর্তনে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার অর্জন ও বিজয়ের আনন্দ পূর্ণতা পেয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব আমাদের দেশকে উন্নয়নের সঠিক পথে পরিচালিত করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে প্রবাসী সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সক্রিয় অংশ নিতে আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় ব্যবসায়ী, জাতিসংঘ-আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ-বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যগণ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত