স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে কোন রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসের তালিকা দেইনি। আমরা যে তালিকা দিয়েছি সেটা দালাল আইনের অভিযুক্তদের তালিকা।’
‘তবে এর সাথে একটি নোটে আলাদা করে ৯৯৬ জনের নাম আমরা দিয়েছি। তারা যেন এই তালিকার আওতায় না আসে। তারা এই মামলার আসামি কিংবা বিবাদী নয়। সে তালিকা যদি আলাদাভাবে করা হতো হয়তো এ ধরনের ভুল-ভ্রান্তি হতো না। এ বিষয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি অবশ্যই আহত হয়েছি।’
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আবারও বলেন, ‘এটা কোন রাজাকার, আল-বদরের তালিকা নয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে দালাল আইনে সেসময় অভিযুক্ত হয়েছিলেন বা অনেকের নামে মামলা হয়েছিল সেই তালিকা। এর মধ্যে অনেকেই দালাল ছিলেন, শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। আবার কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে অনেকের নামে মামলা করে দিয়েছিলেন, অনেকের জেলও হয়েছিল তাদের নামও তালিকায় ছিল।’
‘কাজেই আমাদের কাছে যা ছিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আমাদের বলেছিল আপনাদের কাছে যা আছে দিয়ে দেন। তাই আমরা দালাল আইনে অভিযুক্তদের তালিকা হুবহু তাদের দিয়েছি,’ যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিজয় দিবসের আগের দিন গত রবিবার প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসার পর সমলোচনার মুখে গত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায় ‘তারা নতুন কোনো তালিকা প্রণয়ন করেনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা যেভাবে পাওয়া গেছে সেভাবেই প্রকাশ করা হয়েছে।’