এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ রুলসহ এই অন্তবর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন।
রুলে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ বইতে বঙ্গবন্ধুর ছবি না থাকা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অর্থ সচিবসহ ছয়জন বিবাদীকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।
পরে আলতাফ হোসেন জানান, ‘অর্থ সচিবকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি হাইকোর্ট দুটি রুল জারি করেছেন। তদন্ত কমিটি অর্থ সচিবকেই গঠন করতে হবে। এই কমিটি গঠনসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে অর্থ সচিবকে ৩০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। ৩০ দিন পর আবারও বিষয়টি শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসবে।’
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ বইটি প্রকাশিত হয়। বইয়ে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি না থাকায় এবং ৭ই মার্চের ভাষণসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ইতিহাস বিকৃতি করায় বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ইকতেদার আহমেদ আজ মঙ্গলবার রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
পরে বিকালে এই রিটের ওপর শুনানি হয়। রিট আবেদনে অর্থ সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বইটির প্রকাশকসহ মোট ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।