মঙ্গলবার মেহেরপুরের মুজিবনগর কমপ্লেক্সের পর্যটন মোটেলে ‘মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পের স্থাপত্য পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অনলাইনে ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সরাসরি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মুজিবনগর কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন এবং মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগরে এসে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা যাতে আম্রকাননের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারেন সে লক্ষ্যে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। এছাড়া, বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথের ভাস্কর্য নির্মাণ, ডিওরোমা, প্যানোরামা, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য বাগান ও ম্যুরাল স্থাপনসহ প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং শিশুপার্ক স্থাপন করা হবে।’
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে মুজিবনগর স্মৃতিকেন্দ্র অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হতে চলেছে। বিসিএস কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষণার্থীরা এখানে আসবেন। নতুন প্রজন্ম মুজিবনগর এসে মুক্তিযুদ্ধকে উপলব্ধি করবে। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জেনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাতে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করেন, সেজন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলে ধরতে অনুরোধ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পে প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এখানে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শোয়ের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের হলোগ্রাফিক উপস্থাপন অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টিও দেখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী দুই প্রতিমন্ত্রীর পরামর্শ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেন।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মাদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক স্থপতি আসিফুর রহমান ভুঁইয়া, মেহেরপুর পুলিশ সুপার এম মুরাদ আলীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ভাস্কর, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।