তিনি বলেন, ‘যারা বিরোধিতা করছেন তাদের তা করা উচিত হচ্ছে না। মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো উচিত।’
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাৎ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, মোদির সফরে নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। বাংলাদেশের জনগণ অতিথির সাথে ভালো ব্যবহার করবে এটাই ভারত প্রত্যাশা করে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মোদির সফর যারা প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছেন তাদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, তাদের সাথে সরকারের কোনও ধরনের সংঘাতমূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতোই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
প্রতিনিধিদলের সাথে আলাপের বিষয় নিয়ে মন্ত্রী জানান, ভারত মনে করে যে মোদির সফর একটি ভালো সফর হবে। বাংলাদেশের জনগণ ৭১ এর বন্ধনকে স্মরণ করে একে ভালোভাবে নেবে।
ভারতে চলমান সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে কাদের বলেন, ‘প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগলে পাশের ঘরে তার আঁচ অবশ্যই যায়। এ কথা তো আমি আরও আগেই বলেছি। এ নিয়ে আমাদের এখানে উদ্বেগ এবং প্রতিক্রিয়া ছিল। কিন্তু আমরা একটা বিষয়ে আনন্দিত যে ওখানে বিষয়টাকে একেবারে সাম্প্রদায়িকভাবে দেখনি মানুষজন। সেখানে মুসলমানরা যখন বিপদে পড়েছে তখন অনেক হিন্দু তাদের রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে। জুমার নামাজের দিন হিন্দুরা পাহারা দিয়েছে ও মসজিদ পর্যন্ত রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উদ্বোধনে যোগ দিচ্ছেন। একই সাথে ১৮ তারিখ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আছে। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অবশ্যই দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হওয়ার সুযোগ আছে।’
‘আলোচনাটা কী হবে তা আমি এ মুহূর্তে তো বলতে পারব না। তবে আমাদের যে সম্পর্ক তা আরও দৃঢ় হবে। আমাদের অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়েছে। আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলো সমাধানের জন্য দিন গুনছে এবং আলোচনায়ও অগ্রগতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় আরও অগ্রগতি হবে। এ সফর ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে ও নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে,’ যোগ করেন তিনি।