মাংস ছোট টুকরা করা বা পাইট বা চুরানোর জন্য এটা ছাড়া চলে না। তাইতো যারা কোরবানি করবেন তারা আগে ভাগেই খাইট্টা কিনছেন। বেচা বিক্রিও বেড়েছে বেশ।
খাইট্টা বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন জানান, একটা খাইট্টা অনেক দিন চলে। সব সময় এটি বিক্রি হয় না। স্থানীয় কসাইরা কিনে নেন। কিন্তু কোরবানির ঈদ এলেই চাহিদা বাড়ে। কাঠ ভেদে খাইট্টার দাম ভিন্ন ভিন্ন। বাবলা কিংবা তেতুঁল কাঠের বড় খাইট্টার দাম এক হাজার টাকা, মাঝারি ৭০০ টাকা ও ছোট ৫০০ টাকা। গত এক সপ্তাহে তিনি ১২০টি খাইট্টা বিক্রি করেছেন।
বামুন্দি বাজারের খাইট্টা বিক্রেতা হবিবর জানান, এটা সিজনাল ব্যবসা। যেহেতু ‘স’ মিল আছে বাড়ির পাশে সেহেতু মাঝে মধ্যে গাছের কাণ্ড কেটে এ খাইট্টা তৈরি করে রাখা হয়। অন্যসময় দু একটা বিক্রি হলেও বছরের এ সময় বিক্রি বেশি থাকে। গত ১০ দিনে দেড়শ খাইট্টা বিক্রি করেছেন তিনি।
তিনি জানান, যারা কোরবানি করেন তারা যদি খাইট্টা ধুয়ে মুছে যত্ন করে রাখেন তাহলে এটি আর কেনা লাগে না। একটা খাইট্টা অনেক বছর কাজে লাগানো যায়। কিন্তু ৫-৭ জন মিলে কোরবানি করায় এটার যত্ন কেউ করে না। ফলে বছর বছর খাইট্টা কিনতে হয় তাদের।