ঈদ
২ ঈদের ১১ দিন, দুর্গাপূজায় ২ দিনের ছুটি অনুমোদন
ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আজহায় ৬ দিন এবং দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২ দিনসহ ২৬ দিন ছুটির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
নির্বাহী আদেশে ১২টি সাধারণ ছুটি ও ১৪টি ছুটি অন্তর্ভুক্ত ছিল। নয়টি ছুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্রবার ও শনিবার) মিলে যাবে।
পাঁচটি সাপ্তাহিক ছুটি এবং বিভিন্ন ধর্মের উৎসবের ছুটিসহ মোট ১২টি সাধারণ ছুটি থাকবে।
এছাড়া, নির্বাহী আদেশে ১৪টি ছুটি থাকবে, যার মধ্যে পহেলা বৈশাখ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বিষয়ে চারদিনের সাপ্তাহিক ছুটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এছাড়া বৈসাবি উপলক্ষে তিন দিনের ছুটি পাবেন আদিবাসীরা।
২ মাস আগে
ঈদের ছুটির পর নতুন সময়সূচিতে খুলেছে অফিস
ঈদুল আজহার ছুটির পর বুধবার সীমিত কর্মীর উপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু করেছে সরকারি, বেসরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
এদিন কর্মস্থলে ফেরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত দেখা গেছে। তবে এখনও সবাই ঢাকায় না ফেরায় রাজধানীতে এখনও ঈদের আমেজ বিরাজ করছে।
স্বাভাবিক দিনের তুলনায় আজ রাস্তায় লোকজনের উপস্থিতি অনেক কম। ফলে গণপরিবহনও চলছে অনেক বেশি বিরতি নিয়ে। এছাড়া রাজধানীর দোকানপাটের বেশিরভাগই এখনও বন্ধ।
আরও পড়ুন: বিপুল জমায়েতের মাধ্যমে দেশব্যাপী ঈদুল আজহা উদযাপন
সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে দেশের মুসলমানরা। ঈদ উপলক্ষে ১৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ছুটি থাকলেও শুক্র-শনিবার থাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় ঈদ উৎসব।
ঈদের ছুটির পর প্রথম অফিস খুলেছে বুধবার (১৯ জুন)। এদিন সরকারি নির্ধারিত নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে অফিস শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
গত ৪ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অফিসের এ নতুন সময়সূচি নির্ধারণ হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়। ১ বছর ৭ মাস ৩ দিন পর ওই সময়সূচি পরিবর্তন করে ফের ৯টা-৫টার অফিস সূচিতে ফিরেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বন্যাকবিলত সুনামগঞ্জে ঈদের আনন্দ মাটি
৫ মাস আগে
বন্যাকবিলত সুনামগঞ্জে ঈদের আনন্দ মাটি
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে জলাবদ্ধতা তৈরি করেছে। শহরের বেশিরভাগ সড়কে হাঁটু পানি।
অনেকের বাসা-বাড়ি ও দোকানে পানি ঢোকায় দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শহরের অনেক ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যাকবলিত অঞ্চলের এইচএসসি পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সোমবার সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিন্মাঞ্চল। এদিকে প্রচণ্ড ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে রাত থেকে নেই বিদ্যুৎ।
সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে ৩৩ কেভি লাইন বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড়-বৃষ্টির কারণে ভল্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তারা সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুনপাড়া, বাঁধনপাড়া, উপত্যকা, হাছননগর, আরপিননগর, উকিলপাড়া, ডিএস রোড, ষোলঘর, শান্তিবাগসহ বিভিন্ন সড়কে পানি উঠেছে। অনেকের দোকানের জিনিসপত্র ভিজে গেছে। ভোর থেকেই দোকানের মালামাল উপরে তোলা অথবা স্থানান্তর করা নিয়ে ব্যস্ত দোকানিরা। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও আবাসিক এলাকার উপর দিয়ে পানি গিয়ে পড়ছে ঝাওয়ার হাওরে।
মুজিবুর রহমান নামে এক বাসিন্দা বলেন, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উঠানে ও সড়কে পানি উঠেছে। শহরের বেশিরভাগ সড়কেই পানি। বৃষ্টিতে ভিজে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। এর আগে কোনো ঈদে এভাবে বৃষ্টি হতে দেখিনি। এবারে ঈদে কোনো আনন্দ নেই, ২০২২ সালের জুনের মতো বন্যা আতঙ্কে আছে মানুষ।
নুরুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেছেন, ‘যে পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে সুনামগঞ্জে নদী, হাওর-বাওর, খাল-বিল, পুকুর সব পানির নিচে। ঈদের আনন্দ সব মাটি হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ রহম করো।’
সুনামগঞ্জ শহরের রাস্তায় সুরমা নদীর পানি উঠে গেছে। আলিমাবাগ উকিলপাড়া রাস্তায় প্রায় হাঁটু পানি।
নতুন পাড়ার মুদি দোকানি অমল দাস বলেন, ‘এভাবে পানি বাড়বে বুঝতে পারিনি। আমার দোকানের বেশিরভাগ মালামাল পানিতে ভিজে গেছে। ভোরে দোকানে এসে মালামাল উপরে তুলছি।’
তিনি বলেন, মাঝে বৃষ্টি থামায় পানি কিছুটা কমেছিল, বৃষ্টিতে এখন আবার পানি বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ৭ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র চালু
৬ মাস আগে
ঈদে মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে রবিউল খান ও হুমায়ুন খান নামে আপন দুই ভাই নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গোডাউনে মিলল ব্যবসায়ীর লাশ
নিহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানী গ্রামের ওবায়দুর রহমান খানের দুই ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রবিউল ও হুমায়ুন ঢাকায় জুতার ব্যবসা করেন। ঈদ উপলক্ষে সকালে তারা মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আশুগঞ্জের সোহাগপুর এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন তারা। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার বলেন, ‘নিহতদের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন: পদ্মায় ট্রলার ডুবে গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ
৬ মাস আগে
নিজ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করলেন ডেপুটি স্পিকার
নিজের গ্রাম পাবনার বেড়া উপজেলার বৃশালিখা ঈদগাহ মাঠে নির্বাচনি এলাকার জনগণের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের জামাত শুরু হয় সকাল ৮টায়। ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ডেপুটি স্পিকার।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
এ সময় তিনি বলেন, ‘ঈদ হলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য সবচেয়ে বড় উপহার। ঈদ সবার জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই উৎসবের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র, ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণিবৈষম্যসহ সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়ায়। মানুষের মধ্যে আত্মার বন্ধন সৃষ্টি হয়। এই বন্ধনকে আমাদের সবসময় অটুট রাখতে হবে।’
এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শাহাদতবরণকারী সকল সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও সারাবিশ্বের মানুষের শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
নামাজ শেষে ডেপুটি স্পিকার পারিবারিক কবরস্থান জিয়ারত করেন।
ঈদের নামাজে স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সিলেটে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত
৬ মাস আগে
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন রাষ্ট্রপতি
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে যোগ দিয়ে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সসদ্য ও কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি সেখানে পৌঁছালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী
এসময় মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, আইনপ্রণেতা, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন। দেশের শান্তি ও অগ্রগতি এবং জনগণ তথা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে এসময় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নামাজ শেষে ঈদগাহের মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। এসময় রাষ্ট্রপতির একাধিক সচিবও নামাজে অংশ নেন।
৬ মাস আগে
ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী
ভক্তি ও ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উৎসবের আমেজে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী।
ঈদ উপলক্ষে পৃথক বাণীর মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর হাইকোর্ট-সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়, এরপর সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং বেলা পৌনে ১১টায় বাকি জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি
ভারী বৃষ্টির মধ্যেও সিলেটের শাহী ঈদগাহে বিভাগের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর লক্ষাধিক মুসল্লি এই ঈদগাহে ঈদের নামাজের জন্য একত্রিত হন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার তাদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে।
৬ মাস আগে
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৭ জুন) গণভবনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা।
এরপর ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
৬ মাস আগে
চাহিদা বাড়ায় ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় মসলাজাতীয় পণ্য আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৭০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা। কিন্তু মাংস রান্নায় বেশি পরিমাণে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ব্যবহার হয় বলে এসব পণ্য কিনতে হয় তাদের।
আরও পড়ুন: সবজির দাম স্থিতিশীল হলেও এখনো চড়া, বাড়ছে ডিম, মুরগি ও মাছের দামও
তাই ঈদকে সামনে রেখে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। আর এই চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি জোরদার না করায় ব্যবসায়ীরা শাস্তি না পেয়েই পার পেয়ে যায়।
কারওয়ান বাজারে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকার নিউ ইস্কাটনের বাসিন্দা আম্বিয়া আক্তার বলেন, ইতোমধ্যে বাজারের সব জিনিসের দাম বেড়েছে। তার ওপর আদা, রসুন ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাবি করছে, পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে দাম বাড়াতে হয়েছে তাদের।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মহাখালী, মগবাজারসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আদার দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ৭০ টাকার পরিবর্তে ৯০ টাকা এবং রসুন ২৪০ টাকার পরিবর্তে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দাম, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। চলতি মাসের শুরুতে প্রতি কেজি আদা ছিল ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। তবে মানভেদে বিভিন্ন বাজারে রসুনের দামে কিছুটা তারতম্য রয়েছে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ছাড়াও বিভিন্ন মসলার চাহিদা বেশি থাকে। এ কারণে চলতি মাসের শুরু থেকে এসব পণ্যের দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। গড়ে এই ৩টি পণ্যের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে।
কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে শুক্রবার প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন বেশি দামে কিনি, তখন ৫-১০ টাকা লাভে বিক্রি করতে হয়। কারণ বাজার থেকে এসব পণ্য কেনার পর একটি অংশ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ১০ টাকা কেজি মুনাফা না করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।’
ঢাকার কাঁচাবাজারে সবজির দাম কমেছে, কারণ রাজধানীর একটি বড় অংশ তাদের গ্রামের বাড়িতে ঈদুল আজহার আনন্দ উপভোগ করতে নগরী ছেড়েছে।
ঢাকার কাঁচাবাজারে শুক্রবার থেকে অন্যান্য পণ্য ও মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাও
৬ মাস আগে
ঈদে নৌপথে ২০ লাখের বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বে
আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিতে ঢাকা থেকে নৌপথে ভ্রমণকারী যাত্রীদের সংখ্যা ঈদুল ফিতরের তুলনায় বেশি হতে পারে। ফলে সম্ভাব্য ভিড়, অব্যবস্থাপনা এবং ব্যস্ত ভ্রমণের সময় বিপত্তি দেখা দিতে পারে।
বেসরকারি ও সরকারি সংস্থা এবং নদী পরিবহনের সঙ্গে সম্পৃক্তরা এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে ২০ লাখের বেশি মানুষ উপকূলীয় জেলাগুলোতে যাতায়াত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) জানিয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা অঞ্চলের সোয়া দুই লাখ মানুষ বৃহত্তর বরিশালসহ বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় যাবেন।
কিন্তু এবার ঈদযাত্রার সময় মাত্র চারদিন হওয়ায় নৌযান চলাচলে চাপ বেশি পড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এসসিআরএফ সভাপতি আশীষ কুমার দে ইউএনবিকে বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে নৌপথে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু তারপরও বিশেষ করে ঈদের সময় যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা অপ্রতুল বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদ যাত্রার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৪২, আহত ৩৩১
মাত্র চার দিনের মধ্যে ৯০টি লঞ্চ এত বিপুল সংখ্যক একমুখী যাত্রী বহন করতে প্রস্তুত, অতিরিক্ত ভিড় সহ অব্যবস্থাপনা এবং যাত্রীদের অস্বস্তির সম্ভাবনা বড় আকার ধারণ করেছে।
আগামী ১৭ জুন (সোমবার) সারাদেশে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
আগামী সপ্তাহের রবিবার, সোম ও মঙ্গলবার ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি। তার আগে এই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস এবং শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
যারা নিজ শহরে প্রিয়জনদের সঙ্গে আসন্ন ঈদ উদযাপন করতে চান তারা বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার ৯৫ শতাংশ নৌযাত্রী ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট নদীবন্দর) ব্যবহার করবে।
ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের আওতায় সদরঘাট টার্মিনাল থেকে মোট ১৮০টি লঞ্চ চলাচল করবে। এসব নৌপরিবহনের মধ্যে ঢাকা ছাড়বে ৯০টি, বিভিন্ন স্থান থেকে ৯০টি ঢাকায় আসবে।
কিন্তু চার দিনে ৯০টি লঞ্চ দিয়ে বিপুল সংখ্যক ওয়ানওয়ে যাত্রী নির্বিঘ্নে পরিবহন করা সম্ভব হবে না।
জাতীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া বলেন, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ যেমন রয়েছে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে।
তাই সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে আরও সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৫ জন নিহত, আহত ৪৫৪: আরএসএফ
বিআইডব্লিউটিএ'র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও ট্রাফিক) আলমগীর কবির বলেন, ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ভ্রমণকারীরা যাতে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য আমরা ইতোমধ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গন্তব্যে যাওয়ার পথে সবগুলো লঞ্চ ঢাকা নদী বন্দরের পাশাপাশি নিকটবর্তী বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই যাত্রার সময় কোনো ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের (লঞ্চ) জানানো হবে।
ঢাকা নদীবন্দরের দায়িত্বে থাকা আলমগীর কবির জানান, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিসির বিশেষ স্টিমার সার্ভিস চালু হবে।
এসব স্টিমার সার্ভিস ঢাকা নদীবন্দর থেকে ১৩, ১৬ ও ২০ জুন মোরেলগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং ১৪, ১৮ ও ২২ জুন মোরেলগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপথ যাত্রীবাহী পরিবহন সমিতির (বিআইডব্লিউটিএ) সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে তাদের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে।
এবারের ঈদযাত্রায় সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের লঞ্চগুলো বর্তমান আবহাওয়া অনুযায়ী চলতে সক্ষম।
এছাড়া আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়মিত আবহাওয়ার সতর্কতা পাচ্ছি। ঈদে ঘরমুখো মানুষ ঝামেলামুক্ত ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ‘ঈদ যাত্রায় ভাড়া-গতি-যাত্রী অতিরিক্ত হলে এক লাখ টাকা জরিমানা’
৬ মাস আগে