তিনি বলেন, ‘অনিয়মের সাথে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মাছের পোনা অবমুক্তকরণসহ প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের অংশ হিসেবে রবিবার বঙ্গভবনে পোনামাছ অবমুক্তি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মৎস্য চাষ একটি উজ্জ্বল সম্ভবনাময় খাত। কিন্তু মৎস্য চাষের উপকরণ বিশেষ করে মাছের খাদ্য উপাদান নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচারিত হয়েছে। এতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
‘তাই কিছু অসাধু লোকের জন্য যাতে এ খাতের সম্ভাবনা নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকে হবে,’ যোগ করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বিভিন্ন সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে বিদেশেও মৎস্য রপ্তানি সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
পাস্তরিত দুধ নিয়েও ক্ষতিকারক ও নেতিবাচক খবর প্রকাশ ও প্রচারিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে ভোক্তাদের মাঝে পণ্য সম্পর্কে বিরূপ ধারণা হচ্ছে।
‘একবার ক্রেতারা কোনো পণ্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে শুধু যে ব্যবসার ক্ষতি তা নয়, প্রকারন্তরে প্রান্তিক চাষী বা উৎপাদনকারীরা চূড়ান্ত ক্ষতির শিকার হন,’ যোগ করেন তিনি।
পাস্তুরিত দুধ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিভিন্ন কোম্পানি দুধ না কিনলে প্রান্তিক চাষীরা তাদের উৎপাদিত দুধ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে; নয়তো কম মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হবে। এতে দুধ ও গবাদিপশুর উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। দেশের অর্থনীতিতেও এর মন্দ প্রভাব পড়বে। মুরগী ও গবাদিপশু পালনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
রাষ্ট্রপতি সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গভীর সমুদ্রে টুনা ও টুনা জাতীয় মাছ আহরণ, উপকূলীয় জলাশয়ে মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া ও সীউইড চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করার তাগিদ দেন।
সেই সাথে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ অর্জনের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ মৎস্যসম্পদের পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ‘মাছ চাষে গড়বো দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে বিগত বছরসমূহের ন্যায় এ বছরও ১৭ থেকে ২৩ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ উদযাপিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বঙ্গভবন পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।