ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। যা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
চলতি বছরের ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা হলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের উদ্যোগ নেয়।
সদর উপজেলা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত রংপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন।
এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন দিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছে। জাতীয় পার্টি, বিএনপি, খেলাফত মজলিস, গণফ্রন্ট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে মোট ছয়জন রয়েছেন ভোটের লড়াইয়ে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ছয় প্রার্থী হলেন- এরশাদের ছেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (মোটর গাড়ি), বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান (ধানের শীষ), এনপিপির শফিউল আলম (আম), খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল (দেওয়াল ঘড়ি) এবং গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লা বায়েজীদ (মাছ)।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুরো নির্বাচনী এলাকায় ১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। সেই সাথে মাঠে রয়েছে র্যাবের ২০ ইউনিট ও তিন হাজার পুলিশ-আনসার সদস্য।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে সাথে সাথে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’