সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে চলবে ভোটগ্রহণ।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ইভিএম।
কর্তৃপক্ষ জানান, পুরো নির্বাচনী এলাকায় ১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। সেই সাথে মাঠে থাকবে র্যাবের ২০ ইউনিট ও তিন হাজার পুলিশ-আনসার সদস্য।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনী সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খরার চেষ্টা করলে সাথে সাথে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
চলতি বছরের ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা হলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের উদ্যোগ নেয়।
সদর উপজেলা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত রংপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ছয় প্রার্থী হলেন- এরশাদের ছেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (মোটর গাড়ি), বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান (ধানের শীষ), এনপিপির শফিউল আলম (আম), খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল (দেওয়াল ঘড়ি) এবং গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লা বায়েজীদ (মাছ)।