রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের দুই দিন পর ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে আবার ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কেও বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন,‘ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে পরীক্ষায় বসছে। শিক্ষার্থীদের দাবি ইতোমধ্যে মেনে নেয়া হয়েছে।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে ক্যাম্পাসে এলাকাবাসী ও পুলিশ হামলা চালায়। পুলিশ হামলা করলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের পেছনে ছিল। পুলিশ ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালায়।’
তিনি বলেন, ‘এখনও অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ক্লাস বর্জন করে শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি পালন করছি।’
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন সুপার আব্দুল করিম জানান, রেললাইন অবরোধ ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে রেলওয়ে থানায় ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা