রাবি
রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই নেতা এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে তার হলরুম থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র মাহতাব উদ্দিন হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন রাবি শামসুজ্জোহা হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম ও রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার শাহরিয়ার সৌরভ। তারা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সমর্থক।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ
লিখিত অভিযোগ মাহতাব বলেন, ‘আমাকে হলের প্রভোস্ট কর্তৃক ৩২৬ নং কক্ষে পুনরায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম আমাকে জোর করে রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এবং বিছানা অন্যত্র ফেলে দেয়। রুম থেকে বের না হলে আমাকে মারধরের হুমকি দেয়। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
তবে ছাত্রলীগ নেতা মমিন ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেন। তাকে কেউ টেনে বের করেনি বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, প্রভোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে।
শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রভোস্ট ইকরামুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি মাহতাবকে ৩২৬ থেকে ১৫৪ নম্বর কক্ষে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি বুধবার থেকে সেখানে অবস্থান করছেন।
তিনি আরও বলেন,‘যেহেতু মাহতাবকে রুমটি বরাদ্দ করা হয়েছিল, সে সেই কক্ষে থাকবে এবং আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মাহতাবকে ওই আসনে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করছি।’
আরও পড়ুন: রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ সালের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় কুমার বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম নগরীর মতিহার ও চন্দ্রিমা থানায় মামলাগুলো করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অভিযুক্তদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা, সরকারি বিসিএস কর্মকর্তা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আসামিরা হলেন- রাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্ত, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র এনামুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. স্বপন হোসেন।
জনপ্রশাসন অধিদপ্তর, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ আবু হানিফ মো. তানভীর আহমেদ, কাওসার আলী বিদ্যুৎ, মো. মাইনুল ইসলাম, মো. আব্দুর রকিব, মো. ইসরাফিল হোসেন, জাহিদ আল হাসান সিয়াম, রূপম সরকার ও শেখ আবু হানিফ।
বাকি চারজনের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এদের মধ্যে হাসিবুল, শেখ আবু হানিফ, এনামুল হক ও স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. ইসরাফিল হোসেন ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে জাহিদ আল হাসান সিয়ামের প্রক্সি প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেন।
তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ৪২৪ নম্বর কক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া হাসিবুল ইসলাম শান্ত এনামুল হককে ৫০ হাজার টাকায় নিয়োগ দেন। তিনি প্রধান প্রার্থী তানভীর আহমেদের পক্ষে প্রক্সি দেন।
শেখ আবু হানিফকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আসল প্রার্থী রূপম সরকারের পক্ষে হাজির হন।
ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে বিষয়টি জানতে পেরেছি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করেছি। এখন বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার বসাক বলেন, গতকাল যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: রাবিতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে তিনি মূল অপরাধী নন।
আশা করছি শিগগিরই মূল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারব। একই সঙ্গে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
রাবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে ২৯, ৩০ ও ৩১ শে মে তিনটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ফ্লাইট গুলো ঢাকা থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টায় যাত্রা করে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে রাজশাহী পৌঁছাবে এবং রাজশাহী থেকে বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা করে বিকাল ৫টা ৩৫মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: করোনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্মকর্তার মৃত্যু
বিমানের ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস সেন্টার, কল সেন্টার (০১৯৯০৯৯৭৯৯৭) ও অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকেট কেনা যাবে।
বিমানের ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com ও মোবাইল অ্যাপস থেকে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রমোকোড NEWYEAR23 ব্যবহার করে মূল ভাড়ার ওপর পাঁচ শতাংশ ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে।
বিশেষ ফ্লাইটের পাশাপাশি ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে সপ্তাহে চার দিন নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান।
প্রতি শুক্র, শনি ও রবিবার ঢাকা থেকে সকাল ১১টা ১৫মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে বিমানের ফ্লাইট ছেড়ে যায় এবং রাজশাহী থেকে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে এবং রাজশাহী থেকে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
ঢাকা-রাজশাহী রুটের টিকেট কেনা ও আনুষঙ্গিক তথ্যের জন্য বিমানের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং প্রয়োজনে বিমানের কলসেন্টার (০১৯৯০৯৯৭৯৯৭) ও সেলস কাউন্টার, রাজশাহী (০১৭৭৭৭১৫৭৩৬) সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুন: এ বছর হজ ফ্লাইটে নিজস্ব বিমান ব্যবহার করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হলো ৫ম বোয়িং ৭৩৭-৮০০
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: রাবিতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
আগামী ৬ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কিছু বিধিনিষেধ আরোপের আহ্বান জানিয়েছে।
রাবি জনসংযোগ অফিসের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডের সই করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয় পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১টায় এবং চলবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি: শিক্ষামন্ত্রী
নিম্নোক্ত বিধিনিষেধ হলো সকাল সাড়ে ৯টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আগত যানবাহন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ও বিনোদপুর গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে এবং প্রধান ফটক দিয়ে বের হবে, সাবাশ বাংলাদেশ মাঠ ব্যবহার করা যাবে। প্রয়োজনে যানবাহন রাখা। তবে এটি অবশ্যই সকাল সাড়ে ৯টার আগে হতে হবে, একাডেমিক ভবনের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তায় কোনও যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না, কোনও রাস্তায় বা ক্যাম্পাসের আশেপাশে যানবাহন পার্ক করা যাবে না।
শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং যানবাহন চালকদের উপরোক্ত বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যশোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এমবিবিএস ডাক্তার গ্রেপ্তার
রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ২ দিন পর ক্লাস শুরু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের দুই দিন পর ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে আবার ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কেও বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন,‘ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে পরীক্ষায় বসছে। শিক্ষার্থীদের দাবি ইতোমধ্যে মেনে নেয়া হয়েছে।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে ক্যাম্পাসে এলাকাবাসী ও পুলিশ হামলা চালায়। পুলিশ হামলা করলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের পেছনে ছিল। পুলিশ ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালায়।’
তিনি বলেন, ‘এখনও অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ক্লাস বর্জন করে শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি পালন করছি।’
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন সুপার আব্দুল করিম জানান, রেললাইন অবরোধ ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে রেলওয়ে থানায় ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
রবিবার (১২ মার্চ) রাতে মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক আমানত উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, পুলিশ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: যারা রেললাইনে আগুন দিয়েছে তারা বহিরাগত: রাবির ভিসি
শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রবিবার বিকালে অজ্ঞাতনামা ৫ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
এ ঘটনায় তসলিম আলী ওরফে পিটার (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
এছাড়া ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
যারা রেললাইনে আগুন দিয়েছে তারা বহিরাগত: রাবির ভিসি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, যারা রেললাইনে আগুন দিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়, বহিরাগত।
ঘটনার একদিন পর সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক সাত্তার এ কথা বলেন।
ভিসি বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামাতে বোঝানোর চেষ্টা করেছি এবং সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছি। কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরির সময় শিক্ষার্থীদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে।
অধ্যাপক গোলাম সাব্বির জানান যে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
ভিসি বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের গুলি করতে বলেনি।’
ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে রবিবার রাতে একদল যুবক রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় রাজশাহী ও ঢাকার মধ্যে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সুপার আব্দুল করিম জানান, এদিন রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের কাছে শিক্ষার্থীরা রেললাইনে আগুন দেয়।
শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন নগরীর বিনোদপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এতে অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
শনিবার স্থানীয়রা ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে এবং ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবি নিয়ে স্লোগান দেন, বিচারের দাবি জানান।
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় ও পুলিশের হামলার বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসে সব শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিত করা এবং আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এসব দাবির মধ্যে ছিল।
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার ৯২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রাবি শিক্ষার্থী রাকিব আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রাবি কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে পুলিশ বক্সের কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মুকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২ জন। আর চিকিৎসা নিয়েছেন আরও শতাধিক।’
রাবির চারুকলা অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আহত শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের দুই ও আট নম্বর ওয়ার্ডে বেশি ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে আসার পরে চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করেছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘শনিবার রাতে ছাত্ররা মেডিকেলে আসেন এবং তাদের মধ্যে ৯২ জন বিভিন্নভাবে জখম আবস্থায় ছিল। আমরা শিক্ষার্থীদের তৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা শনিবার রাতে আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। তবে এখন সে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায় এখন সকল শিক্ষার্থী বিপদমুক্ত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
অন্যদিকে, ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রাবি কর্তৃপক্ষ। রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর আব্দুস সালাম বাদি হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলাটি করেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫০০ জনকে। সব আসামি অজ্ঞাত। মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে হামলায় জড়িতদের শনাক্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে স্থানীয়রা জড়ালে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনার পরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
শিক্ষার্থীর মৃত্যু: পাল্টা অভিযোগ রাবি প্রশাসনের
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের পর এবার পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন।
রাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে নগরীর রাজপাড়া থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ অক্টোবর আনুমানিক সাড়ে ৮টায় গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এম.জে.এম. শাহরিয়ারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক গুরুতর আহত শাহরিয়ারকে চিকিৎসার জন্য আইসিইউ’তে না নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসক ও নার্স বিলম্বে আসে এবং নানা অজুহাতে চিকিৎসা প্রদানে কালক্ষেপণ করতে থাকে। ফলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিলম্ব ও বিনা চিকিৎসায় শাহরিয়ার মৃত্যুবরণ করে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, শাহরিয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি সাধারণ ছাত্রদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছায় এবং চিকিৎসকের অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যু ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। সেই সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও তার আশেপাশের ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক, ইন্টার্নি, নার্স, আনসার ও তাদের উচ্ছৃঙ্খল সহযোগীরা ন্যাক্কারজনকভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শোকার্ত শিক্ষার্থীদের অবরুদ্ধ করে, অকথ্য গালিগালাজ করে এবং আকস্মিকভাবে হামলা চালায়।
হামলায় তারা লাঠি এবং শল্যচিকিৎসায় ব্যবহৃত ধারালো যন্ত্রসামগ্রী দিয়ে আনুমানিক শতাধিক শিক্ষার্থীকে গুরুতরভাবে আহত করে। আহত শিক্ষার্থীদের অনেককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্র, বারিন্দ মেডিকেলসহ রাজশাহীর অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা প্রদান করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে তা এখনো মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি। পর্যালোচনা চলছে। দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
পড়ুন: রামেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে রাবি প্রশাসন
ফের ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বুধবার রাতে শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার মারা যায় বলে অভিযোগ উঠে।
হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘অধ্যাপক নওশাদ আলীর নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি শাহরিয়ারের মৃত্যু এবং চিকিৎসকদের দায়িত্বে কোনো ত্রুটি বা অবহেলা ছিল কিনা তা তদন্ত করবে।’
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও রাজশাহীর দুই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের ছাদ থেকে শাহরিয়ার পড়ে গেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
ঘটনাস্থলে থাকা জাহাঙ্গীর নামে এক শিক্ষার্থী ইউএনবিকে বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহরিয়ারকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়নি। জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক ছিল না। সেখানে শুধু একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ছিলেন।
এদিকে চিকিৎসক যথাসময়ে না আসায় শাহরিয়ারের সহপাঠীরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। এতে শিক্ষার্থী ও মেডিকেল ইন্টার্ন এর মধ্যে হাতাহাতি হয়।
পরে রাবিতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হামলার প্রতিবাদে ইন্টার্নরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করে।
অন্যদিকে হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে এলাকাজুড়ে বিক্ষোভ করেছে রাবি শিক্ষার্থীরা। রাত ২টার দিকে তদন্ত কমিটি গঠন ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আশ্বাসে হাসপাতাল ত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: রাবির ছাত্রীকে ‘যৌন নিপীড়ন’ ঘটনায় মামলা
রাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩