বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনা জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ আদেশ দেন। এসময় মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত ও মো. সাগরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিফাত হত্যা মামলার নিয়মিত ধার্য তারিখে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে ৮ আসামিকে বরগুনা জেলা দায়রা জজ আদালতে নিয়ে আসা হয়। এসময় জামিনে থাকা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিও তার বাবার সাথে আদালতে উপস্থিত হয়। এরপর আদালতের বিচারক দুপক্ষের শুনানি শেষে অধিকতর শুনানি ও মামলার চার্জ গঠনের জন্য পরবর্তি তারিখ ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মোঃ হাসান (১৯), মোঃ মুসা (২২), আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মোঃ সাগর (১৯), কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)।
৬ নভেম্বর রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগপত্র বিচারের জন্য প্রস্তুত করে জেলা ও দায়রা জজ আদাতনে প্রেরণ করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন। এছাড়া নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। আর বাকি আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।