বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. শাহে আলম জানান, শুক্রবার দুপুরে একটি বিশেষ প্রিজনভ্যান আসামিদের নিয়ে কারাগারে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা মামলায় সাজা পেল ১১ কিশোর, খালাস ৩
তিনজন হলেন আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় এবং মো. হাসান।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে বৃহস্পতিবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। অপর দুই আসামি মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী ও মোহাইমিনুল ইসলাম শিফাতের বিরুদ্ধে অন্য মামলা থাকায় আদালতে হাজির করার প্রয়োজনে বরগুনাতেই রাখা হয়েছে।
কারা সূত্র জানায়, বরগুনা জেলা কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রাখার যথাযথ ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। এসব কারণে ঊর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রিফাত হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পুরুষ আসামিদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ব্যাপক আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনকে ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। এরপর থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা বরগুনা কারাগারে ছিলেন।
বরগুনা সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে ২০১৯ সালের ২৬ জুন শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে আহত করেন আসামিরা। পরে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।