সরকারি কর্মকর্তারা জানান, আইসিসি প্রতিনিধি দলটি এখানে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক ছাড়াও পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করবেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর ইতোমধ্যে তার বিচারকদেরকে নির্বাসন, অন্যান্য অমানবিক কাজ এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগের তদন্ত অনুমোদন করার অনুরোধ করেছে।
আইসিসির মতে, মিয়ানমার রোম সনদে স্বাক্ষর না করলেও রোহিঙ্গাদের বিতাড়নে যে অপরাধ হয়েছে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে স্বাক্ষরকারী দেশ বাংলাদেশের ওপর। তাই রোম সনদ অনুযায়ী এ বিষয়ে আদালত ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারবে।
এর আগে গত বছরের আগস্টে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গণহত্যার উদ্দেশে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মিয়ানমারের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিৎ।
তবে এরকম অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার সরকার। তারা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।