তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমকে আশ্রয় দিয়েছে, যারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও গুরুতর অত্যাচারের শিকার হয়েছেন।
রবিবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন পদ্মায় এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসভেন মিকসের’র সাথে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী জানান, এসব নির্যাতিত মানুষগুলোর নিরাপদ এবং সুরক্ষিত প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ দেখতে তিনি সম্প্রতি রাখাইন রাজ্য সফর করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসভেন মিকসের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিশাল আতিথেয়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে একাত্মতা জানান।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদ নির্বাচনে এস্তোনিয়ার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে মাহমুদ আলী দেশটির সফলতা কামনা করেন।
তিনি জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ের পাশাপাশি সংস্থাটির সংস্কার প্রক্রিয়ায় দুদেশ একসাথে কাজ করতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে দুই মন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয়ের নানা দিক নিয়ে আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা করেন।
নিজ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে তিন দিনের সফরে এখন বাংলাদেশে রয়েছেন এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসভেন মিকসের।
তার এই সফর দুদেশের মধ্যে প্রথম কোনো উচ্চ-পর্যায়ের সফর বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।