লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে কাজী সোলায়মান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষের ১২ জনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় আ.লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
আহতদের মধ্যে রয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন, চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই আবদুর রহিম ও কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেন এবং ছাত্রলীগ কর্মী আকবর হোসেন।
আকবর চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমানের ভাই।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার সময় চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এ সময় হামলার নেতৃত্ব দেন চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
মাসুদ চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক কাজী সোলায়মানের অনুসারী বলে জানা গেছে। এছাড়া এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার এম মাহফুজ্জান আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বাধা দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এতে পাঁচ পুলিশ আহত হয়েছে। পরে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের উভয় পক্ষের মোট ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে শিশু নিহত: ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গাজীপুরে আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পিস্তল ঠেকানো বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার