আ.লীগ
আ.লীগকে নিষিদ্ধে জুলাই আহতদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংগঠন ওয়ারিয়র্স অব জুলাই।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হলে ‘রাজধানী ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানায় সংগঠনটি।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে ঘোষণা অথবা সিদ্ধান্ত চান বলে জানান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আহতরা। এই সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিশ্রুতি না এলে ৪৮ ঘণ্টা পর সারা দেশ থেকে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে বাইপাস সড়ক নির্মাণ বন্ধে চার দিনের আল্টিমেটাম
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত শহিদ মিনারে তাদের সেই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগকে কেউ পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে তাদের পরিস্থিতিও একই হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
জুলাই আন্দোলনে আহত সুজন নামে এক যুবক বলেন, ‘হাসিনার এই গণহত্যাকারী দল গত ১৭ বছরে অনেক মা-বোনকে কাঁদিয়েছে। আওয়ামী লীগকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আবার চব্বিশের জুলাইয়ের মতো আন্দোলন হবে।’
‘আমরা মৃত্যুকে ভয় পাইনা। যতদিন জীবিত আছি, আওয়ামী লীগকে এই বাংলাদেশে ফিরতে দেব না।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে নতুন করে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়াতেও নিষেধ করেন জুলাই বিপ্লবে আহতরা।
২৮ দিন আগে
নরসিংদীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে নরসিংদীর রায়পুরায় দুর্গম চরাঞ্চল চাঁনপুর ইউনিয়নে মোহিনীপুর গ্রামে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— রায়পুরা উপজেলা চাঁনপুর ইউনিয়নে মোহিনীপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমিন (২৩) ও একই গ্রামের বারেক হাজীর ছেলে বাশার (৩৫)।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁনপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর সালাম মিয়া ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সোহাগের সঙ্গে চাঁনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসু মেম্বারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতা সামসু মেম্বর ও তার সমর্থকরা এলাকাছাড়া ছিলেন। ৫ আগস্টের পর এলাকায় ফিরে আসেন তারা।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এমনকি দুপক্ষই মারামারি ও গোলাগুলি করে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মিয়া ও তার সমর্থকদের এলাকাছাড়া করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সবশেষ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সালাম মিয়া ও তার সমর্থকরা এলাকায় ফিরতে চান। এতে বাধা দেয় বিএনপি নেতা সামসু মেম্বার ও তার লোক জন।
২৯ দিন আগে
আ.লীগ নেতাকে ছাড়াতে গিয়ে থানায় বিএনপির দুপক্ষের হাতাহাতি
রাজশাহীতে গত ৫ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে তদবির করতে গেলে থানার মধ্যেই বিএনপি নেতাদের দুপক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে।
আবুল কালাম পবা উপজেলার পারিলাতে একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি রাজশাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি ও রাজশাহী ইউরিয়া সার ডিলার সমিতির সভাপতিও ছিলেন।
আরও পড়ুন: রামপুরা ব্রিজের কাছে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা
কৃষকদলের রাজশাহী বিভাগীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন সরকার টিটু অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের দোসর জানার পরেও বিএনপির কিছু নামধারী নেতা থানা থেকে আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে তদবির করতে আসেন। বিষয়টি দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবাদ করার কারণে থানার ভেতরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সকলের সামনে আমাকে আবুল কালাম লাথি মারেন। এছাড়া শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানসহ রাজশাহী নগর বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের কিছু নামধারী নেতা-কর্মীরা আমাদের লাঞ্ছিত করেন।’
অন্যদিকে, জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আবুল কালাম আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী হওয়ায় দেখা করতে গিয়েছিলাম। আওয়ামী শাসনামলে আবুল কালামকে ইউরিয়া সার ডিলার সমিতির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ২০২৪ সালে (তৎকালীন রাসিক) মেয়র লিটনের মামলার শিকার হন তিনি।’
‘আবুল কালাম একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি বিএনপির রাজনীতি করতেন। ব্যবসায়িক স্বার্থে তাকে মেয়র লিটনসহ বিভন্ন আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে চলতে হতো।’
জিল্লুর রহমানের অভিযোগ, মূলত ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান সমিতি দখল করতেই আবুল কালামকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনা অভিমুখে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, হাতাহাতি
প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, আসামি আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করার পর নগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা গতকাল (শনিবার) থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। দলটির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী জড়ো হওয়ার পর তারা একে অপরের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু করে। একপর্যায়ে হাতাহাতিও শুরু হয়।
বোয়লিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির বেশ কিছু নেতা আবুল কালামের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। এজহারভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় থানার মধ্যে বিএনপি নেতাদের মধ্যে কিছু অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’
৩৪ দিন আগে
বগুড়া কারাগারে আরও এক আ.লীগ নেতার মৃত্যু
বগুড়া জেলা কারাগারে এমদাদুল হক ভট্টু নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এমদাদুল হক ভট্টু জেলার গাবতলী উপজেলার দক্ষিণপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এর আগে, এই কারাগারে আটক অবস্থায় আওয়ামী লীগের চার নেতা মারা গেছেন বলে জানান কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ।
তারা হলেন— বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত আলম ঝুনু, গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠু, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ ও বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন।’
আরও পড়ুন: শিশুকে পুকুরে ফেলে দেওয়া সেই শিক্ষক কারাগারে
জেলার বলেন, ‘বিস্ফোরক ও ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার ভট্টুকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। রক্তচাপ-সংক্রান্ত শারীরিক জটিলতা নিয়ে কারাগারে আসার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সুস্থ হয়েও ওঠেন।’
‘আজ (মঙ্গলবার) সেহরি শেষে সকালে হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করলে দ্রুত তাকে শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়, তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
প্রাথমিকভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা সৈয়দ শাহ শরীফের।
৩৯ দিন আগে
আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কর্মকর্তাসহ ৫ পুলিশ সদ্যকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন— ইন্দুরকানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলমগীর হোসেন, এএসআই মো. রুহুল আমিন, কনস্টেবল মো. আল মামুন ও মো. রেজাউল করিম।
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বুধবার (২৬ ফ্রেবুয়ারি) রাতে তাদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) খাঁন মোহাম্মদ আবু নাসের।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
তিনি বলেন, ‘গত সোমবার বিকালে বিস্ফোরক মামলার আসামি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল খানকে আটকের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে জোর করে হেলাল খানকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তাদের ক্লোজ করা হয়েছে।’
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের ছয় নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
৫১ দিন আগে
রাজশাহীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ২
রাজশাহীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলায় জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর তা বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
স্থানীয়রা জানান, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুরের তিয়ারকুড়ি গ্রামের বিএনপিকর্মী মামুন ও তার ওয়ারিশদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা ও দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ও তার ওয়ারিশদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ছুরিকাঘাতে ফেরদৌসী নামের এক নারী নিহত হন। এছাড়া আরও এক ব্যক্তি নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মামুন তার লোকজন নিয়ে রিয়াজুলদের জমি দখল করতে যান। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দিলে মামুনের লোকজন তাদের ওপর হামলা করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। হামলায় ফেরদৌসী বেগমসহ আরও তিনজন গুরুতর আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফেরদৌসী বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া গুরুতর আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: জগন্নাথপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০, গুলিবিদ্ধ ১
তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ওই ব্যক্তির নাম জানা যায়নি। এছাড়া নিহত ব্যক্তিরা কোন পক্ষের, তাও জানা যায়নি।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হোদা বলেন, ‘ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। কারা কারা হামলার সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। হামলায় জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।’
৫৬ দিন আগে
শেখ হেলাল, তন্ময়সহ বাগেরহাট আ.লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ও স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগে বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় ও তৎকালীন পুলিশ সুপার আবুল হাসনাতসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফেরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৬০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) শহরের খারদ্দার এলাকার ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম মিঠু বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় এ মামলা করেন।
ওই দিনই মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে পুলিশ আজ (রবিবার) তাকে বাগেরহাট আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন— বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আইনজীবী মীর শওকত আলী বাদশা, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন কুমার দাশ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ ওরফে সাহেব মল্লিক, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ওহিদুর রহমান বাবু, ইমরুল হাসান, বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শিপন মিনা, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সহকারী ফিরোজুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বক্কর খা, বাগেরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শামিম আহসান, শেখ মহিতুর রহমান পল্টন, সৈয়দ বাদশা হোসেন, খান মুজিবুর রহমান, দুলাল আকন, কাদের সরদার, হুমাযুন কবির পলি,সুমন রাহি, ফারুক হোসেন, দোলন মোল্যা, নাহিয়ান সুলতান, মমিনুল হক আকাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আসরাফী জেমস, ফারুক তালুকদার, বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন, নকিব নজু, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান বাবু ও নাজমা সরোয়ার।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম সংঘটনের লক্ষ্যে গত ৪ আগস্ট ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী গোলচত্ত্বর সংলগ্ন পাওয়ার ফিলিং স্টেশনের সামনে পাকা রাস্তার ওপর বেআইনিভাবে রাস্তা অবরোধ করে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম করে এবং আন্দোলনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে ফাঁসাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করতে থাকে। তারা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণসহ হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক গুলি চালানো হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকার কারণে ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘একটি ব্যালট একটি বুলেট’ বক্তব্য ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের কয়েকদিন আগে বাগেরহাটে একটি অনুষ্ঠানে ‘যেখানে উন্নয়ন, সেখানেই ধ্বংস’ বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
আরও পড়ুন: আরও তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক মন্ত্রী ইমরানকে
৬৯ দিন আগে
ফরিদপুরে আ.লীগ-বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৮
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ২০টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। আহতদের ৩ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সদর উপজেরার কানাইপুর ইউনিয়নের ফুসরা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফুসরা গ্রামে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন আক্কাস মাতুব্বর। আক্কাস মাতুব্বর ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন হাশেম খান। তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
স্থানীয়রা জানায়, একটি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে আক্কাস ও হাশেমের সমর্থকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এর জেরে হাশেমের সমর্থকেরা আক্কাসের বাড়িঘরসহ তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর করেন। এ সময় ১০ লাখ টাকার গরু-ছাগল লুটপাট হয়। পরে আক্কাসের সমর্থকেরা হাশেমের খানের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২২
পরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ, সেনাসদস্য ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন জানান, আক্কাস ও হাশেমের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে।
৭৫ দিন আগে
নরসিংদীতে আ.লীগের দুপক্ষে গোলাগুলি, নিহত ২
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও টেঁটাযুদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় দুজন নিহত ও আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
পূর্বঘোষিত সংঘর্ষের ডাক দিয়ে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ।
নিহতরা হলেন- আলী আহমদ, আলমগীর হোসেন আলম।
আরও পড়ুন: শেরপুরে দুপক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে মাছ ব্যবসায়ী নিহত, আহত ৪
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘বাঁশগাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন রাতুল ও সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলামের মধ্যে টেঁটা ও বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হন। এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।’
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ‘বাঁশগাড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, পরে বিস্তারিত বলা যাবে।’
৮৩ দিন আগে
প্রকাশ্যে গুলি করা সেই আ.লীগ নেতা ৭ দিনের রিমান্ডে
ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনায় সাভারে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। সাভারের রাজাসনে আরিফুর রহমান রাসেল হত্যা মামলায় তাকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
সুজন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবো গ্রামের ছেলে। তিনি বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
গত ৫ আগস্ট ঢাকা আরিচা মহাসড়কে আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হন রাসেল। এ ঘটনায় তার বড় ভাই সাইদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।
এ ছাড়াও সুজনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় আরও ১৪টি হত্যা মামলা ও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছ কাঁচের ঘরে রিমান্ডের সুপারিশ পুলিশ সংস্কার কমিশনের
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সুজনকে গ্রেপ্তার করে।
সাভারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর রাজপথে গুলি চালানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে সুজনের হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর অনবরত গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায়।
৮৭ দিন আগে