আ.লীগ
দখলদারিত্বের নতুন নজির স্থাপন করেছে আ.লীগ সরকার: বিএনপি
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপমান করেই সরকার ক্ষান্ত হয়নি, বরং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জেষ্ঠ নেত্রী সেলিমা রহমান।
তিনি বলেন, ‘জনগণ দেখছে তাদের (সরকারের) স্বৈরশাসন এবং কীভাবে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠানে জবরদখল করা হচ্ছে। তারা তাকে অপমান করেছে... এখন তার টেলিকম ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে দখল হয়ে গেছে।’
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এই অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরশাসন সর্বব্যাপী, কারণ এটি দখলদারিত্বের নতুন নজির স্থাপন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আরও বলেন, ক্ষমতাসীনরা ধর্ষণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত।
তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা আপনারা শুনেছেন। প্রতিদিন নারীরা কীভাবে নির্যাতিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।’
দেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এদেশে এখন মায়েরা ধর্ষণ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ‘অনিয়ম সর্বত্র থাকার কারণে এগুলোর কোনো প্রতিকার নেই।’
সেলিমা বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের রাজনীতিকরণের কারণে নির্যাতিত নারী ও নিপীড়িত জনগণ মানুষের কাছে থেকেও সহযোগিতা পায় না এবং বিচার বিভাগের কাছ থেকেও বিচার পায় না।
আরও পড়ুন: লুটপাটের টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত করছে আ.লীগ: বিএনপি
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কারাবন্দী বিরোধী দলের নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।
সেলিমা বলেন, সব জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম সামাল দিতে দেশের মানুষ কঠিন সময় পার করছে।
তিনি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমাতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন।
বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' সরকারকে বিদায় করে একটি গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে নামার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভবনটি সরকারপন্থীরা দখল করেছে। তিনি বলেন, 'তিনি (মুহাম্মদ ইউনূস) নিজেই বলেছেন, তিনি পুলিশের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না।’
বর্তমান সরকার ক্ষমতা থেকে না ছাড়া পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ‘আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, বর্তমান ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে এদেশের মানুষ বিপদে পড়বে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের রাজনীতি, নির্বাচন ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে যাচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
লুটপাটের টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত করছে আ.লীগ: বিএনপি
সারাদেশে সামাজিক নৈরাজ্য এখন চরম আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, ক্ষমতাসীনরা এখন লুটপাটের অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই রক্তপাত করছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সারা বাংলাদেশে সামন্ততন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভুল রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে গেছে: কাদের
রিজভী বলেন, দেশ গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্য। সামাজিক ক্ষেত্রে এখন কী ঘটছে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যৌন হয়রানির আস্তানায় পরিণত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, ‘কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের ক্যাডাররা এক যুবককে কুপিয়ে ১০ টুকরো করে হত্যা করেছে। ছাত্রলীগের সজীব নিজেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি... দিয়েছে। তারা এখন শুধু বিএনপির (অনুসারীদের) ওপর হামলা চালাচ্ছে না, বরং লুণ্ঠিত অর্থের ভাগ আদায়ে দলের মধ্যে একে অপরকে হত্যা করছে।’
ক্রমবর্ধমান সামাজিক নৈরাজ্যের ফলে দেশ এখন এক বিপজ্জনক ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে তাদের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর গুলশান এলাকায় পথচারী, দোকান মালিক, পরিবহন শ্রমিক ও রিকশাচালকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন রিজভী।
'সেভ দ্য কান্ট্রি, সেভ দ্য পিপল' শীর্ষক লিফলেটে ৭ জানুয়ারির একতরফা ডামি নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা ও সব মহানগরীতে লিফলেট বিতরণ করেছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি হতাশা কাটিয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
'একতরফা' দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতাসীনদের নেতারা ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘দখলদার সরকার মনে করছে, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর তারা বাংলাদেশের মালিক হয়ে গেছে। এই সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই থেমে থাকবে না। জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি দাবি করেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং দেশের মালিক হিসেবে জনগণের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করছে। তিনি বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য এটা (আন্দোলন) নয়। এটা জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই।
সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও আজ্ঞাবহ নীতির কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে মারা হচ্ছে। টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তে নিয়মিত গোলাগুলি হচ্ছে। বাংলাদেশের কৃষকরা কাজ করতে পারছেন না, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন, কিন্তু আমাদের সরকার নীরব। এ অবস্থা চলতে পারে না।’
আরও পড়ুন: নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আ.লীগ ছাড়া সবাই বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বন্ধ করতে চায়: সিপিডি
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট থেকে বেরিয়ে আসতে চায় বলে একটি বিশ্লেষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে 'বাংলাদেশে জ্বালানি রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: একটি নাগরিক ইশতেহার' শীর্ষক সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি আমদানিতে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বাংলাদেশের: সিপিডি
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঘোষিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কমানোর বিষয়টি রাখা হয়নি।
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান, বিদ্যমান জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক জ্বালানি ব্যবস্থার অতি আধিপত্যের অবসান, জ্বালানি মিশ্রণ ও বহুমুখীকরণ এবং বিদ্যুৎ আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে তা অনুপস্থিত।
সেমিনারে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর শাকিল জয়, বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বুয়েটের কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধ্যাপক ও ডিন এবং প্রধান উপদেষ্টার সাবেক বিশেষ সহকারী ড. এম তামিম; সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ (সিইআর), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী; কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্কের (ক্লিন)প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী ; অ্যাকশনএইডের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ; ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ)লিড এনার্জি অ্যানালিস্ট শফিকুল আলম।
বক্তারা বলেন, সরকারকে অবশ্যই বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। অন্যথায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত অব্যাহত লোকসান থেকে মুক্তি পাবে না।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল বলেন, দেশের শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য অর্জনই আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
তিনি বলেন, ‘জনগণের দাবি বিদ্যুৎ পাওয়া। তারা আর বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা করতে চায় না এবং উৎপাদন খরচ দেখতে চায় না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
তিনি আরও বলেন, কিছু ভুল থাকতে পারে, তবে আমরা সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে প্রধান বাধা হচ্ছে দেশে জমির স্বল্পতা।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সামগ্রিক দৃষ্টিতে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার রাতারাতি বিদ্যুৎ রূপান্তরের জন্য তার পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে পারে না।
ড. তামিম বলেন, সরকার দিনের বেলা সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে সহজেই তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করতে পারে, তবে এ জাতীয় কোনও পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিকল্পনার আওতায় আগামী ২০ বছর ১০ হাজার মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু থাকবে।
শফিকুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানির ফলে দেশে ডলারের ঘাটতি বাড়ছে। আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে আমাদের দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।
অ্যাকশনএইডের আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বেসরকারি উৎপাদকদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ৫২ হাজার কোটি টাকা, ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত মাসে অনুষ্ঠিত ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করছে।
তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রহসনের ডামি নির্বাচনকে দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করার পর তারা (সরকার) এখন তাদের ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করছে। তারা যে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে সেটাও জনগণের কাছে প্রকাশ করার চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে দলের নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় বিএনপির লিফলেট বিতরণের আগে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভঙ্গুর গণতন্ত্র দেখতে চায় ভারত: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে দেশের মানুষ জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘ডামি নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছি।’
জিয়াউর রহমানের আমলে সেনাবাহিনীর ওপর অনেক দমনপীড়ন হয়েছে এবং অনেককে ফাঁসির মঞ্চে পাঠানো হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, যারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সবকিছু করেছেন তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা।
তিনি বলেন,‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) সেনা কর্মকর্তাদের গুম করে দিয়েছেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী কোথায়? আপনার সরকারের আমলে তাকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭২-১৯৭৫ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ ও অন্যান্য বিরোধী দল ও ভিন্নমতাবলম্বীর প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ‘একইভাবে এই সরকারের আমলে অসংখ্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমসহ অনেককে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে।’
পরে রিজভীসহ দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মী ওই এলাকার পথচারী, দোকান মালিক, পরিবহন শ্রমিক ও রিকশাচালকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
'সেভ দ্য কান্ট্রি, সেভ দ্য পিপল' শীর্ষক লিফলেটে ৭ জানুয়ারির একতরফা ডামি নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
দেশব্যাপী দলের কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমাতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মঙ্গলবারও সব মহানগর শহরে লিফলেট বিতরণ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণসহ ছয় দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
আ.লীগের মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ পড়লেন ৩ প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি তিন প্রতিমন্ত্রী।
মনোনয়ন না পাওয়া প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাকির হোসেনের পরিবর্তে বিপ্লব হাসানকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে দলীয় টিকিট পাননি আওয়ামী লীগের ৭১ সংসদ সদস্য
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে কে এম খালিদের পরিবর্তে মো. আব্দুল হাই আকন্দ এবংবেগম মুন্নুজান সুফিয়া সুফিয়ানের খুলনা-৩ আসনে এস এম কামাল হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ক্ষমতাসীন দল কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। কুষ্টিয়া-২ আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের হাসানুল হক ইনু এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সেলিম ওসমানের দখলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা-১ আসন: মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ
ঢাকায় ৯টি আসনে নতুন মুখকে মনোনয়ন দিয়েছে আ.লীগ
দ্বাদশ নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ৯টিতে নতুন মুখ এনেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নতুন মুখ আনা আসনগুলো হলো- ঢাকা-৪ সানজিদা খানম, ঢাকা-৫ হারুনুর রশিদ মুন্না, ঢাকা-৬ সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ সোলাইমান সেলিম, ঢাকা-৮ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-১০ ফেরদৌস, ঢাকা-১১ মো. ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ঢাকা-১৪ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
আরও পড়ুন: আ. লীগের ৬৯ জন সংসদ সদস্য এবার মনোনয়ন পাননি
ঢাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া অপরিবর্তিত প্রার্থীরা হলেন- ঢাকা-১ সালমান এফ রহমান, ঢাকা-২ কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা-১৮ মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ঢাকা-১৯ এনামুর রহমান এবং ঢাকা-২০ বেনজীর আহমেদ।
রবিবার বিকালে ২৯৮ আসনে মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে দলটি।
কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থীদের নামের তালিকা পরে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন মাশরাফি ও সাকিব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ২৯৮ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ আওয়ামী লীগের
‘আরেকটি একতরফা জাতীয় নির্বাচন আ.লীগকে নির্বাসনে পাঠাবে’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আরেকটি একতরফা জাতীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি তাদের (আওয়ামী লীগের) উদ্দেশ্য কী। তারা ৭ জানুয়ারি বিভিন্ন স্থানে ব্যালট বাক্স স্থাপন করবে এবং সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করবে। এটা এমন কোনো নির্বাচন নয়, যা আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে।’
রবিবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে মান্না এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে আছে সরকারি সিন্ডিকেট: মান্না
মান্না বলেন, সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন প্রহসনের নির্বাচন না করে ভালো কিছু করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি, দেশের জনগণ এবং বিশ্ব সম্প্রদায় এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি বলছি, ভালো দিন আসছে। কী ঘটতে পারে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করুন। এটা সরকার বা আওয়ামী লীগের নির্বাচন নয়, এটা তাদের নির্বাসনে পাঠাবে। এটি দেখার জন্য অপেক্ষা করুন।’
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নিষ্ক্রিয়তা ও রাজপথে অনুপস্থিত থাকার কারণে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই রবিবার দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের সমর্থনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে যোগ দেন মান্না। এদিকে অসুস্থ থাকায় জোটের সাম্প্রতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
মান্না বলেন, ‘আমি এখনও অসুস্থ। আমি এখানে এসেছি কারণ আমার অবস্থান সম্পর্কে একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। মাহমুদুর রহমান মান্না দালাল নন।’
মান্না বলেন, সরকার যাই বলুক না কেন, জনগণ বিরোধী দলের হরতাল ও অবরোধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, তারা সরকার ও একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বিভিন্ন দলকে বিভক্ত করে নির্বাচনের জন্য লোক নিয়োগের ‘অশুভ’ প্রচেষ্টার জন্য মান্না সরকারের সমালোচনা করেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসের রাজত্ব মোকাবিলায় তারা দেশব্যাপী অবরোধ আরোপ করছে।
তিনি বলেন, ‘মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য আমরা মাঝে মাঝে বিরতি দিই। তবে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’
তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আবার জেগে উঠছে।
এর আগে গণতন্ত্র মঞ্চের শতাধিক নেতা-কর্মী রাজধানীর বিজয়নগর ও তোপখানা রোড এলাকায় বিক্ষোভ করেন।
৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক মিছিল বের করে।
এদিকে বিজয়নগর, নয়াপল্টন, পুরাতন পল্টন, পান্থপথ ও জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ এবং সমাবেশ করেছে— গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, ১২ দলীয় জোট, বাম গণতান্ত্রিক জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, লেবার পার্টি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কার মতো হবে না: এম এ মান্নান
প্রধানমন্ত্রীর নতুন রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা মান্নার
দেশ বাঁচাতে আ.লীগ-বিএনপির কাছে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র খোলা চিঠি
বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি (বিওপি) নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছানোর মাধ্যমে দেশ বাঁচাতে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর জজকোর্ট এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে বিওপির নেতৃবৃন্দ উভয় পক্ষের উদ্দেশে খোলা চিঠি পড়ে এ আহ্বান জানান বলে দলীয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবদুর রহিম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন ঢালী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল মাহমুদ হাসানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো সমঝোতা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তফ্রন্ট গঠন করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা সৈয়দ ইব্রাহিমের
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক শক্তির উপর নির্ভর করে অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে দেশের প্রধান দুই দল। তাই নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে খোলা চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিওপির নেতারা।
লিখিত বিবৃতিতে বিওপি অভিযোগ করেছে, দেশে গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করে বিদেশিদের সম্পৃক্ত করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোট একে অপরকে পরাজিত করার সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা করেছে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো কেউ একে অপরকে হারাতে পারে না। কিন্তু উভয় জোটই দেশকে ধ্বংস করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। বড় দুই দলের আচরণ তাদের জীবনকে কঠিন করে তুলবে বলে জানান তারা।
দেশের রাজনৈতিক সংকটকে আরও বাড়াতে পারে ভবিষ্যতে এমন সংঘাত এড়াতে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য দুটি নেতৃস্থানীয় দলের শীর্ষ নেতাদের আহ্বান জানান বিওপি নেতাদের।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ
নির্বাচনের তফসিলের নিন্দা করে 'লাল কার্ড' দেখাল এবি পার্টি
না.গঞ্জে আ.লীগ নেতাকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করেছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে। নিহত দেলোয়ার হোসেন (৪২) উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত পৌনে ৯টার দিকে বালিয়াপাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন দেলোয়ার হোসেন। হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে দেলোয়ার গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ, যুবক আটক
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলেও স্বজনরা তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতদের ছোট ভাই জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাইয়ের অবস্থা খুবই গুরুতর। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এখন তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান ইউপি সদস্য সোহেলের সঙ্গে দেলোয়ারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
বিরোধের জের ধরে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক তৈয়ব জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ওসি আরও বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সবজি ব্যবসায়ীর মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছুরিকাঘাতে ইউপি সদস্য খুনের অভিযোগ
আ.লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাল কাদের
দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার বিকালে তেজগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময়কালে তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিভক্তি থাকলে আমাদের শত্রুরা সুবিধা নেবে।’
কাদের বলেন, এদেশের ইতিহাসে দু’টি নাম অমর: বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা।
‘১৯৭৫ সালে আমরা যে যুদ্ধ করেছি তা ছিল টিকে থাকার লড়াই’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর শেখ হাসিনা এদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন। তার নেতৃত্বেই সব উন্নয়ন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকার কচুরিপানার পানি নয় যে ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে: হানিফ
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির অত্যাচারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি। আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে বিএনপি।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা ভুয়া ভোটার তৈরি করে, ভোট চুরি করে, সন্ত্রাস করে এবং ক্ষমতা দখল করে তাদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ কী শিক্ষা নেবে?
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কঠোর হাতে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে যে হাতগুলো আগুন নিয়ে আসবে আমরা তাদের পুড়িয়ে দেব। ‘আমরা লাঠি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীর হাত ভেঙে দেব।’
আরও পড়ুন: বিএনপি থাকলে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না: তথ্যমন্ত্রী