আহত
মালির মধ্যাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৬, আহত ৪৮
আফ্রিকার দেশ মালির মধ্যাঞ্চলে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এতে আরও অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মালির পরিবহন ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয় জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মধ্য মালির উয়ানের ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মৌরিতানিয়ায় সাগরের উপকূল থেকে ৮৯ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্ঘনায় এক চালকের মৃত্যু হয়েছে।
বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো ও দ্রুত গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ‘ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি’ সবচেয়ে দীর্ঘ ছিল: জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা
ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় আহত যুবকের মৃত্যু
ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালো জিন্স ও নেভি ব্লু রঙের টি-শার্ট পরা ওই যুবককে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই যুবকের মাথায় ব্যান্ডেজ দিয়ে মোড়ানো ছিল।
যুবককে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের হেলপার শাকিল সাংবাদিকদের বলেন, তারা তাকে ধানমন্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে ওই যুবককে মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তরের আগে পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ বিকালে সায়েন্সল্যাব এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ওই যুবক আহত হওয়ার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে অ্যাম্বুলেন্স হেলপার বলেন, তিনি কীভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন সে বিষয়ে তিনি জানেন না। ‘আমরা ধানমন্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: ঢাকা কলেজের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনার কাছে আত্মঘাতী হামলা, ৮ বেসামরিক নাগরিক আহত
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সামরিক স্থাপনার প্রাচীর দেয়ালের কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে আট বেসামরিক লোক আহত হয় এবং আশপাশের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) ভোরে বান্নু শহরে আত্মঘাতী এক ব্যক্তি এই বিস্ফোরণে অংশ নেয় বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তা তাহির খান বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত 'সমন্বিত হামলার' জবাব দেয় এবং বান্নু শহরের বড় সামরিক স্থাপনায় বিদ্রোহীদের প্রবেশের প্রচেষ্টাকে রুখে দেয়। হামলার লক্ষ্যবস্তুতে মূলত সামরিক বাহিনীর কার্যালয় ও নিরাপত্তা বাহিনীর বাড়ি রয়েছে।
আরও সন্ত্রাসীদের ধরতে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও স্থলবাহিনী এখন ওই এলাকায় পৌঁছেছে বলেও জানান তিনি।
এসব হামলায় বেশ কয়েকজন সেনাও আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সরকার বা সেনাবাহিনীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পৃথক অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত
বান্নু আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রদেশটিতে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের একটি মসজিদে পুলিশের ছদ্মবেশাধারী এক আত্মঘাতী সন্ত্রাসীর বোমা হামলায় অন্তত ১০১ জনের মৃত্যু হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিল পুলিশ কর্মকর্তা।
হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা জোরদার করায় পাকিস্তানি তালেবানের ওপর বেশি সন্দেহ করা হচ্ছে।
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি নামে পরিচিত পাকিস্তানি তালেবান একটি পৃথক গোষ্ঠী কিন্তু আফগান তালেবানের মিত্র। ২০২১ সালে আফগান তালেবান প্রতিবেশী আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে টিটিপি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী
চবি-ষোলশহরে কোটাবিরোধী ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ১০
চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনে কোটাবিরোধী অন্দোলনরত শিক্ষাথীদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৪টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীরা ঝড়ো হয় ষোলশহর রেল ষ্টেশনে।
সংঘর্ষ শুরু পরপরই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যানবাহন বন্ধ ছিল।
এর আগে দুপুরে চবি স্টেশনে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঠেকাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের চাবি কেড়ে নেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা।
আজ ৩টা থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নগরীর ষোলশহর স্টেশনে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়।
এর আগ দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
এদিকে, ছাত্রলীগের নেতারা ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়া শাটল ট্রেন আটকে আন্দোলনের এক সমন্বয়কারীকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কোটা আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দুপুর আড়াইটায় শাটল ট্রেনে করে শিক্ষার্থীরা ষোলশহর স্টেশনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী তাদের লাঠি ও বাঁশ নিয়ে ধাওয়া দেন। অনেকেই ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে ধরে নিয়ে প্রক্টরের কাছে গিয়ে তার ভর্তি বাতিলের দাবি জানান। ছাত্রলীগের নেতারা শাটল ট্রেনের চালককে জিম্মি করে চাবি ছিনিয়ে নেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা আজ সকালে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন যে দুপুর আড়াইটার সময় শাটল ট্রেনে করে চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর রেলস্টেশনে সমবেত হবেন। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা যাতে শাটল ট্রেনে উঠতে না পারেন, এজন্য ট্রেনের প্রতিটি বগির সামনে ছাত্রলীগ কর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ট্রেনে উঠতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে 'ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের' হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরীর ষোলশহর স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষমান শাটল ট্রেনের চালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক ট্রেনের চাবি ছিনিয়ে নিয়েছে। এ কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।’
এদিকে, শাটল ট্রেন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
জানতে চাইলে চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, ‘কোটা সংস্কারের পক্ষে যারা আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলতে গিয়েছিলাম। তারা আন্দোলন করুক সেটাতে আমরা একাত্মতা পোষণ করেছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কেউ কটুক্তি করবে সেটা আমরা মেনে নেব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেন আমরা বন্ধ করিনি। তাছাড়া আমরা কোনো হামলাও করিনি। রাফি নিজেই স্বীকার করেছে সে নিজেই মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের ভূমিকা উন্মোচিত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
বাগেরহাটে ২ বাসের সংঘর্ষে ভারতীয় নাগরিক নিহত, আহত ১২
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ২ বাসের সংঘর্ষে শ্রীধর গাঙ্গুলী নামে এক ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন বাসযাত্রী।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে উপজেলা খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের ফলতিতা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রীধর গাঙ্গুলী (৪৫) ভারতের পশ্চিম বাংলার বীরভূম জেলার কাঁটুরিয়া বোলপুরের ভীম গাঙ্গুলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে স্কুলের ভবন ধসে ২২ শিক্ষার্থী নিহত
মোল্লাহাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান জানান, যশোরের বেনাপোলগামী রাজিব পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ফলতিতা নামকস্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস দোলা পরিবহনের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে দোলা পরিবহনের বাসটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় রাজিব পরিবহনে থাকা ভারতীয় নাগরিক শ্রীধর গাঙ্গুলী নিহত এবং উভয় বাসের ১২ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। তবে এই বাস দুটির চালক ও তাদের সহকারীরা পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, শ্রীধর গাঙ্গুলী ভারতীয় পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে ১৬ জুন বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার দেবগ্রামে পৈত্রিক বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শনিবার তিনি ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেনাপোল সীমান্তে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩
বিলের পানিতে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
বিলের পানিতে নৌকা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে মেডিকেলের শিক্ষার্থীসহ ২ যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার কান্দুলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঝিনাইগাতীর দক্ষিণ কান্দুলি গ্রামের সোহরাব মিয়ার ছেলে রংপুর মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোশারফ হোসেন মিল্টন (২২) ও স্থানীয় সাদা মিয়ার ছেলে মো. আমানুল্লাহ (১৯)। আহতদের শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে নৌকাডুবি, ব্যবসায়ী নিখোঁজ
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইগাতীর দক্ষিণ কান্দুলি গ্রামের মিল্টন এবং তার কয়েকজন বন্ধু মিলে পাশের ধলি বিলে নৌকায় করে বেড়াতে দু’টি নৌকা ভাড়া নেন। বিলের মাঝখানে গিয়ে হঠাৎ একটি নৌকা উল্টে যায়। ওই নৌকার যাত্রীরা সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে যায়। সঙ্গে থাকা নৌকার মাঝি এবং অন্য নৌকার যাত্রীরা ডুবে যাওয়াদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের শেরপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিল্টন ও আমানুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আএমও) ডা. খাইরুল কবীর সুমন জানান, ঝিনাইগাতীর বিলে নৌকাডুবির ঘটনায় কয়েকজনকে জেলা হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই দুইজনের মৃত্যু হয়।
ঝিনাইগাতীর ধানশাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ধলি বিলে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইস্কান্দার হাবীব জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি জানার পর পরই ঘটনাস্থলে ডিউটি অফিসার পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তায় নৌকাডুবি: শিশুর লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৭
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে বাসচাপায় ইজিবাইকের ২ যাত্রী নিহত, আহত ৯
ফরিদপুরের মধুখালীতে পূর্বাশা পরিবহনের একটি বাসের চাপায় সুমন আলী ও সিরাজ হাওলাদার নামে ইজিবাইকের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই শিশুসহ আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৯ জন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-মাগুরা মহাসড়কের মধুখালী বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কান্ডুপাশা গ্রামের বাবুর আলীর ছেলে ও সিরাজ হাওলাদার বরিশাল সদরের সারুখালী এলাকার মৃত ইয়াছিন হাওলাদারের ছেলে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
আহতরা হলেন- ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কান্ডুপাশা গ্রামের মিলন, মিম (০৩), সোনালী (০৬), জসিম, শিরিন, শারমিন বেগম। এছাড়া বরিশাল সদরের সারুখালীর লিজা বেগম এবং একই জেলার বারইকান্দী এলাকার রাহাত বেপারী ও ফরিদপুর সদরের পূর্ব গঙ্গাবর্দী এলাকার শামচু শেখ।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'ঢাকা-মাগুরা মহাসড়কের মাগুরাগামী লেনের উপর মধুখালী বাজার থেকে একটি ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক গোন্দারদিয়ায় যাওয়ার জন্য ফরিদপুরগামী লেন থেকে মাগুরাগামী লেনে যাওয়া মাত্রই ঢাকাগামী পূর্বাশা পরিবহনের একটি বাস ইজিবাইকটিকে চাপা দেয়। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আর ৯ জন। তারা সবাই ইজিবাইকের যাত্রী।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে: কাদের
বেনাপোলে পাসপোর্ট যাত্রীদের ওপর পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’, আহত ১০
বেনাপোল দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় দায়িত্বরত আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ (এবিপিএন) ও আনসার সদস্যরা পাসপোর্ট যাত্রীদের লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ জুন) সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আতঙ্কিত হয়ে অনেক যাত্রী সঙ্গে থাকা ব্যাগ ফেলে ছোটাছুটি শুরু করেন। এ ঘটনায় কিছু সময় যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকে। পরে পোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিদিনের মতো বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে ভারতগামী যাত্রীর দীর্ঘ লাইন ছিল। হঠাৎ টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়া শুরু হলে ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে যাত্রীরা লাইন ভেঙে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বারান্দায় উঠে যায়। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ে টার্মিনালের সামনের গ্লাস ভেঙে একজন এবিপিএন সদস্য সামান্য আহত হন। এসময় এবিপিএন ও আনসার সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীদের ওপর এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
আনোয়ার হোসেন নামের ঢাকার এক পাসপোর্ট যাত্রী বলেন, ‘স্ত্রীকে নিয়ে সকাল থেকে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে লাইন থেকে সরে টার্মিনালের বারান্দায় এসে উঠি। এসময় আর্মড পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আমাদের এলোপাতাড়িভাবে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। পরে যাত্রীদের চাপে একজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন।’
পাসপোর্ট যাত্রী আনন্দ মণ্ডল বলেন, ‘বৃদ্ধ বাবা-মা ও শিশুদের নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানো যে কি কষ্ট, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা বুঝবে কী করে! উনারা টাকার বিনিময়ে লাইন ছাড়া যাত্রী পার করার কাজে ব্যস্ত থাকেন। বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।’
পাসপোর্ট যাত্রী কামনা বালা বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় রাস্তা থেকে একটু উপরে উঠেছি। অমনি প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বারান্দায় উঠতে পারবো না বলে জানানো হলো। তাহলে ৬০ টাকা করে কিসের জন্য নেওয়া হলো? এখানে পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।’
ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী ইন্দ্রজিত বলেন, ‘বাধ্য হয়ে, বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিরা ভারতে যান। পুলিশ ও আনসারদের এমন অন্যায় আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। সুষ্ঠুভাবে যাতে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারেন, সে বিষয়ে দুই দেশেরই গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।’
এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিপিএনের ইনচার্জ বাদল চন্দ্র বলেন, ‘আজ যাত্রীর অনেক ভিড়। এ কারণে তাদের সামাল দিতে গিয়ে হয়তো কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আমার সদস্যরা কারও ওপর লাঠিচার্জ করেনি।’
আরও পড়ুন: চামড়া পাচাররোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি
মাগুরায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
মাগুরার শ্রীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হারেজ মণ্ডল ও শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য চাঁদ আলী গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের ছোনগাছা গ্রামের ঈদগাহ মাঠের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ সুমন শেখ নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া আহত তিনজনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- মিল্টন লস্কর (৩৩), ফয়জুল হক সাগর, (৩২) ও আটক সুমন শেখ (২৫)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রাক্টর-নসিমন সংঘর্ষ, নিহত ১
স্থানীয়রা জানায়, ছোনগাছা গ্রামের সুমন নামের এক যুবক একটি পিস্তল বের করে হারেজ মণ্ডলের ছেলে মিজান মণ্ডলের ওপর হামলা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। এ সময় অস্ত্রধারী সুমনের সঙ্গে থাকা এনামুল শেখ দৌড়ে পালিয়ে যান। তিনি তাদের পক্ষের লোকজনকে খবর দিলে খামারপাড়া গ্রামের মিল্টন লস্কর, ফয়জুল হক সাগর ও সুমন মোটরসাইকেলে চড়ে বিষয়টি দেখতে যান। এসময় ‘চেয়ারম্যান কুটি মিয়ার সমর্থক’ বলেই মিল্টন ও সাগরকে চাঁদ আলী গ্রুপের লোকজন কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় সুমন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে হারেজ মণ্ডল গ্রুপ ও চাঁদ আলী গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে হারেজ মণ্ডল গ্রুপের লোকজন চাঁদ আলী গ্রুপের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমিন আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে চাঁদ আলী মেম্বারের সমর্থক ও সামাজিক মাতবর হারেজ মণ্ডলের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ওসি জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত
পাকিস্তানে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২৮, আহত ২০
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে একটি বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ২৮ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৯ মে) সকালে ওয়াশুক জেলায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দেশটির স্থানীয় পুলিশ বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানিয়েছে, জেলার বিসমিয়া এলাকায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি বাস খাদে পড়ে যায়। এতে নারী ও শিশুসহ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তীর্থযাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ও আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
সামান্য আহত কয়েকজন যাত্রীর বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, তুরবাত শহর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটায় যাওয়ার পথে দ্রুতগতিসম্পন্ন বাসটির একটি টায়ার ফেটে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: কিরগিজস্তানে বিদেশিদের ওপর হামলা: ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়েছে পাকিস্তান