দুই পক্ষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০
অটোরিকশা চুরির ঘটনা কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত এবং ২৫টি বাড়ি ভাংচুর-লুটপাটসহ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের চান্দার গোষ্ঠী ও বারেক গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে দু'পক্ষের সংঘর্ষ।
স্থানীয়রা জানান, রোজার শেষ দিকে তেরকান্দা গ্রামের নানু মিয়ার ছেলে শাহরুলের একটি সিএনজি অটোরিকশা চুরি হয়। অভিযোগ ওঠে বারেক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
তারই রেশ ধরে সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে এ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় চান্দার গোষ্ঠী ও বারেক গোষ্ঠীর লোকজন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও, মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় ফের সংঘর্ষ। বর্তমানে এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সেনাবাহিনী।’
২৬ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ হাবিব নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। হাবিব নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার আনোয়ার মোল্লার ছেলে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পরে বুধবার (১৯ মার্চ) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতর ভাই বাবু বলেন, ‘হাবিব পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। সে চনপাড়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে। পরে ওইখানে তার একটি গুলি এসে গায়ে লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
নিহত হাবিবের দুইটি সন্তান রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, ‘লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’
৪৬ দিন আগে
পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১২ মার্চ) সকালে উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই গ্রামের মন্টু মোল্লা একই গ্রামের লিখন হোসেনের কাছে এক হাজার টাকা পেতেন। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে সেই টাকা চাওয়া নিয়ে দুই জনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এর জেরে আজ (বুধবার) সকালে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষের নিহত ৩
তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলেও স্বপন বিশ্বাসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
৫৩ দিন আগে
সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
সুনামগঞ্জে দিরাই উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৯ মার্চ) সকালে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের রণভূমি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, রণভূমি গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান ও আশিক মিয়ার মধ্যে স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। গত দুই দিন আগে ব্যাক্তিগত একটি জায়গা বিক্রিকে কেন্দ্র করে রবিবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ জড়ান তারা। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে তিনজন গুলিবিদ্ধ, ৫ ডাকাতকে গণপিটুনি
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সংঘর্ষের পর পুরো গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।’
এছাড়া গ্রামে পুলিশ মোতায়েন আছে বলেও জানান ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
৫৬ দিন আগে
কুয়েটে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, উত্তেজনা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বর্তমানে কুয়েট ও আশপাশের এলাকা থমথমে অবস্থায় রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্র রাজনীতি ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’; ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’; ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা’ এই স্লোগান দিতে দিতে কুয়েটের ছাত্র হলগুলো প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে গেলে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় কুয়েটের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। কুয়েট পকেট গেট থেকে বহিরাগতরা একটি গ্রুপের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন।
আরও পড়ুন: কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
আহতদের কুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরে পালাটাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।’
৭৫ দিন আগে
বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধে বাগেরহাটে ৮ বাড়িতে আগুন, আহত ২০
বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৮টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় দুপক্ষের নারী-শিশুসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আগুনে ৬টি মোটরসাইকেল, আসাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বিকালে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিকবার হামলা পাল্টা-হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানায়, ৫ আগস্টের পর বিএনপির মোস্তাফিজুর রহমান ও রুহুল আমিনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ ঘটে। সম্প্রতি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে তাদের বিরোধ চরমে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: ১১ বছর পর খালাস পেলেন সিলেট বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী
এর আগে সোমবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিট ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তখন উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়। ওই ঘটনার জেরে বুধবার দুপুরে ও বিকালে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে রুহুল আমিন ও তার ভাইদের ৮টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় নারী-শিশুসহ ২০ জন আহত হন। আগুনে ৬টি মোটরসাইকেল, আসাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রুহুল আমিন ওরফে রুহুল মেম্বরের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, মোস্তাফিজুর রহমানের লোকজন কয়েকদিন ধরে তাদের লোকজনদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। স্বর্ণালংকারসহ মুল্যেমান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এমনকি আগুন দিয়ে তাদের ৮ ভাইয়ের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। রুহল আমিনের পরিবারের দাবি, রুহুল আমিন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হতে চায় এ জন্য তাদের বাড়িঘরে হামলা-লুট-পাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রুহুলের ভাই রেজার নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলায় ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়।
১১৬ দিন আগে
ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
ইজতেমা ময়দানে তাবলীগ জামায়াতের এক পক্ষের শীর্ষ মুরুব্বী মাওলানা সাদ ও তাদের অনুসারীদের জোর ইজতেমাকে ঘিরে গত কয়েকদিনের অব্যাহত বিরোধের জেরে ২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সংঘর্ষে ইজতেমা ময়দানে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ইজতেমা: প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে সাদপন্থিদের মিছিল
তাবলীগের মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী শুরায়ে নেজামের পক্ষের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, ভোরে ইজতেমার প্রস্তুতি কাজে পাহারায় নিয়োজিত ঘুমন্ত তাবলীগের সাথীদের উপর হামলা চালায় কর্তৃপক্ষের লোকজন। এতে দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়। নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বাচ্চু।
অন্যদিকে, মাওলানা সাদ কান্দলভির অনুসারী তাবলীগের নিজামুদ্দিন পক্ষের সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা উপলক্ষে ময়দানে প্রবেশ করার সময় গতরাতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তাবলীগের সাথী বগুড়ার তাইজুল ইসলাম নিহত ও বহু সাথী আহত হয়েছেন।
তবে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান দুজন নিহতের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমা ৩১ জানুয়ারি
১৩৮ দিন আগে
চট্টগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রবাসীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে সেকান্দর মামুন নামের এক প্রবাসী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
রবিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ইত্যাদি চত্বর এলাকায় সংঘর্ষটি হয়।
মামুন সরফভাটার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। এক মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, ৩০ নভেম্বর সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুই এলাকার লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় মামুনের ওপর হামলা হলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি।
আহতদের মধ্যে চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. শাহেদ বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মামুনের মৃত্যু হয়েছে।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রের আঘাতে মামুনের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের ধরতে অভিযান চালছে। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে লাটাহাম্বারের চাপায় প্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
১৫৩ দিন আগে
পাবনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
পাবনার হেমায়েতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী জালাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের মানসিক হাসপাতাল সংলগ্ন বেতেপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জালাল উদ্দিন হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়ার শকর আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য মুন্তাজ আলীর সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেমের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার(১৫ নভেম্বর) রাতে ওই এলাকার ইসলামী জলসা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরদিন সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে আবুল হাসেমের কর্মী জালালের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মুন্তাজ ও হাসেমের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহী নেওয়ার পথে জালালের মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ১২
১৬৯ দিন আগে
নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, হাসপাতালেও হামলা
নরসিংদীতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনে চেয়ারে বসা নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কার্যালয়ের নিচতলায় প্রথম দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
পরে রাত ৯টার দিকে আহত ব্যক্তিরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আরেক দফা হামলার শিকার হন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহরের ব্রাহ্মন্দী এলাকার জাহিদ হোসেন (২৮), তার কর্মী মিনহাজুর রহমান (২৩), ইয়াসিন আহমেদ (২৯), সানভির আলম নিবির (২৫), সাইফুল ইসলাম (২৭), জাহিদ বিন রাফি (২২), দুলাল (২৫), রিপন (২২), তৌফিক (২৭), অয়ন (২৯), শিমুল (২০), শিপন (২৫), জীবন (২০) এবং জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামান মিয়া (২৪)।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
জানা যায়, জেলা ছাত্রদল সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসেনের জাপ্পি’র কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রদল নেতা–কর্মীদের ভাষ্য, খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনে সভায় সামনের দিকের কিছু চেয়ারে জাহিদের কর্মীরা বসতে গেলে তাদের বাধা দেন ছিদ্দিকুর। এ নিয়ে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। এ সময় জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে আহতরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। রাত ৯টার দিকে ওই হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসা নিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান ছিদ্দিকুর রহমানের কর্মীরা। সেখানে অন্তত তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, ওই ঘটনায় ১৪ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল কমপ্লেক্সে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং অন্তত ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি কক্ষে ভাঙচুরের চেষ্টাও চালানো হয়েছে।
আহত ছাত্রদল নেতা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আবারও অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের ৪ জনকে কুপিয়ে আহত করেছেন নাহিদ ও তার কর্মীরা। অথচ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা রাজপথে ছিলাম।’
হাসপাতালে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কার্যালয়ে সামান্য বিষয়ে কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। আমাকে আহত করা হয়েছে এমন গুজব ছড়ানোর পর আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভেবেছিলেন আমি হয়তো নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছি। তারা আমাকে দেখার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নন। যদি হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।’
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, বহিষ্কার ৪
১৯৮ দিন আগে