পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (১২ জুলাই) সকালে (স্থানীয় সময়) দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মো. আলমগীর হোসেন।
দূতাবাসে আয়োজিত ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে এবং বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ মিশনগুলোর ই-পাসপোর্ট সুবিধা প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের প্রতিফলন।’
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনও ই-পাসপোর্টের প্রচলন করতে পারেনি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে। ই-পাসপোর্ট চালু হলে শুধু ভ্রমণ ও ইমিগ্রেশনই সহজ হবে তা নয়, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে। সরকার পর্যায়ক্রমে বিদেশের সকল বাংলাদেশ মিশনে ই-পাসপোর্ট সুবিধা চালু করবে।’
বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মো. আলমগীর হোসেন বাংলাদেশে দূতাবাস, লিসবন-এ ই-পাসপোর্ট সুবিধা প্রবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুযোগ্য নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘পর্তুগালে ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর মাধ্যমে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশীদের দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত দাবি পূরণ হলো, যা পর্তুগালে সদ্য আগত বাংলাদেশিদের নিয়মিতকরণে সহায়তা করবে।’
তাছাড়াও ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দন উক্ত অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
পরবর্তীতে, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব কয়েকজন আবেদনকারীকে ই-পাসপোর্টের এনরোলমেন্ট স্লিপ হস্তান্তর করেন।
সবশেষে, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ দূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, ই-পাসপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ, পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মীগণ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত