লিসবন
ভিলা নোভা দ্যা মিলফোন্তেসের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাসে ঈদ উদযাপন
পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ পর্তুগালের আরেকটি শহর ভিলা নোভা দ্যা মিলফোন্তেসের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।
সেখানে মিলফোন্তেস ও আশেপাশের এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ১০০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সাফল্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আরও পড়ুন: নিজ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করলেন ডেপুটি স্পিকার
তিনি বলেন, তাদের রেমিট্যান্স বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভকে মজবুত ও অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
এসময় রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা বৈধ পথে দেশে পাঠানোর জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রবাসীরা তাদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি দু’দেশের অর্থনীতিতেই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে অভিনন্দন জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের কাউন্সেলর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কনস্যুলার সহকারী।
মিলফোন্তেস পর্তুগালে অবস্থিত আরেকটি শহর যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মূলত কৃষি কাজ ও রেস্টুরেন্টে কর্মরত আছেন।
এদিকে মিলফোন্তেসে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা পবিত্র ঈদের দিন রাষ্ট্রদূতকে তাদের মাঝে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হন।
রাষ্ট্রদূত তাদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
মত-বিনিময় সভায় উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের প্রবাস জীবনের নানাবিধ অভিজ্ঞতা, সম্ভাবনা ও সীমাবন্ধতা বিশদভাবে তুলে ধরেন।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত তাদের মতামতের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন ও আলোচিত বিষয়াবলির ওপর তার পরামর্শ দেন।
সভা শেষে, পবিত্র ঈদ উপলক্ষে রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
পবিত্র ঈদ উপলক্ষে রাষ্ট্রদূতের মিলফোন্তেসের প্রবাসীদের আনন্দকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে মর্মে তাদের উচ্ছাস ও কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৩ লাখ মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়
বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত
৬ মাস আগে
লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (১২ জুলাই) সকালে (স্থানীয় সময়) দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মো. আলমগীর হোসেন।
দূতাবাসে আয়োজিত ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে এবং বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ মিশনগুলোর ই-পাসপোর্ট সুবিধা প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের প্রতিফলন।’
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনও ই-পাসপোর্টের প্রচলন করতে পারেনি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে। ই-পাসপোর্ট চালু হলে শুধু ভ্রমণ ও ইমিগ্রেশনই সহজ হবে তা নয়, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে। সরকার পর্যায়ক্রমে বিদেশের সকল বাংলাদেশ মিশনে ই-পাসপোর্ট সুবিধা চালু করবে।’
বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মো. আলমগীর হোসেন বাংলাদেশে দূতাবাস, লিসবন-এ ই-পাসপোর্ট সুবিধা প্রবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুযোগ্য নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘পর্তুগালে ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর মাধ্যমে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশীদের দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত দাবি পূরণ হলো, যা পর্তুগালে সদ্য আগত বাংলাদেশিদের নিয়মিতকরণে সহায়তা করবে।’
তাছাড়াও ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দন উক্ত অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
পরবর্তীতে, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব কয়েকজন আবেদনকারীকে ই-পাসপোর্টের এনরোলমেন্ট স্লিপ হস্তান্তর করেন।
সবশেষে, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ দূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, ই-পাসপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ, পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মীগণ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
১ বছর আগে
লিসবনে উদযাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী
বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে।
এই উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন-এর চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আলমগীর হোসেন দূতাবাসের অনান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর পদক প্রাপ্তির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
আলমগীর হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হলো জুলিও কুরি শান্তি পদক, যা বাংলাদেশের জন্য প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সম্মান।
এই পদক অর্জন বিশ্বদরবারে বাঙালি জাতিকে গৌরবান্বিত করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি তার বক্তব্যে পদকটির গুরত্ব ও ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন অগ্রদূত; অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।
‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ বঙ্গবন্ধু ঘোষিত শান্তির এই বাণী, বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতিতে বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক।
চার্জ দ্য অ্যাফয়ার্স বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে যেমন ভূমিকা রেখেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
মিয়ানমারে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বদরবারে শান্তি ও মানবতার যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারও উল্লেখ করেন তিনি।
তাছাড়া, বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসার, যুদ্ধ ও সংঘাত নিরসন, দক্ষিণ এশিয়ায় পারমানবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগ ও স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করেন।
আলোচনা শেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
১ বছর আগে
লিসবনের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় ঢাকা
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার আশা প্রকাশ করে ঢাকায় একটি আবাসিক পর্তুগিজ মিশন প্রতিষ্ঠার কথা বিবেচনা করতে পর্তুগিজ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকায় সব ধরনের ভিসার আবেদন গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পর্যায়ক্রমিক কনস্যুলার সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
পর্তুগাল ও কেনিয়ার যৌথ আয়োজনে ২য় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলন ২০২২ এর সাইডলাইনে শুক্রবার লিসবনে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জোয়াও গোমেস ক্রাভিনহোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: কলম্বো বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজের জন্য অগ্রাধিকারমূলক নোঙ্গরের সুবিধা
এটি ছিল পররাষ্ট্র পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, বাংলাদেশ ১০ বছর ধরে লিসবনে একটি আবাসিক বাংলাদেশ দূতাবাস চালু রেখেছে এবং সম্প্রতি দূতাবাসের স্থায়ী অবস্থানের জন্য লিসবনে সম্পত্তি ক্রয় করেছে।
পর্তুগিজের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তার সরকারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং পরামর্শগুলো আমলে নিয়েছেন।
তিনি পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের পর্তুগিজ অর্থনীতিতে অবদানের প্রশংসা করার পাশাপাশি পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ড-বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর: পানির গল্প নিয়ে ‘বই’ উন্মোচন
উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় স্তরে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ, সমুদ্র অর্থনীতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
দুই মন্ত্রী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এ সময় ড. মোমেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পর্তুগাল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যকর ভূমিকার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: লিসবনে জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
লিসবনে জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পর্তুগালের লিসবনে দ্বিতীয় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সেখানে পৌঁছার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দেবেন। তিনি সম্মেলনের সাইডলাইনে ইন্টারেক্টিভ সংলাপ, পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াও গোমেস ক্রাভিনহোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া তিনি লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধন করবেন।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-১৪ অর্জনের লক্ষ্যে কাঠামোগত রূপান্তর এবং বিজ্ঞান-ভিত্তিক মাধ্যমে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় লিসবনে গতকাল দ্বিতীয় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলন ২০২২ শুরু হয়েছে, যা সংরক্ষণ এবং মহাসাগর, সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পর্তুগাল এবং কেনিয়া এ বছর দ্বিতীয় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে আয়োজক।
পর্তুগিজ প্রেসিডেন্ট ড. মার্সেলো রেবেলো ডি সুসা উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সমুদ্রের জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমুদ্র সংরক্ষণ ও সুরক্ষা প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, পর্তুগালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সম্মেলনে অংশ নেন।
পড়ুন: বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৪০ লাখ টিকা দিল যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাজ্যকে এক লাখ রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের অনুরোধ ঢাকার
২ বছর আগে