বুধবার দুপুরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইনভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার পাইলটিং (প্রথম পর্যায়) কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ করছি ধাপে ধাপে। ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা আমরা এখন ম্যানুয়াল ও ডিজিটাল দুইভাবেই চলাবো। তবে আগামী জুলাই থেকে পুরোপুরি ডিজিটাল হয়ে যাবে। এখন আমরা পাইলটিং করছি।’
সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এক সময় ছিলো একটি স্বপ্ন, রুপকথার গল্পের মতো। আজকে সেটি বাস্তবতা। সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের দিকে। উন্নত বিশ্বের প্রবৃদ্ধির হার মাইনাসে চলে গেছে। সেখানে বাংলাদেশের গ্রোথ অনেক বেশি। আমরা কোভিডকে ভয় পাইনি, সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করে গেছি। ভূমি মন্ত্রণালয়ও কাজ করেছে, আমরা কোনো কাজে বসে নেই। আমরা চাই সেবা দিতে, কাজ করতে।’
‘ডিজিটাল সিস্টেম যতো বৃদ্ধি পাবে, সেবা ততো সহজ হবে। শুধু ভূমি নয় অন্য মন্ত্রণালয় বিভাগেও ডিজিটাল ব্যবস্থা জরুরি। এই প্রক্রিয়ায় মাঠ পর্যায়ে অনেকের সমস্যা হতে পারে। সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কিছু বিষয় প্রশিক্ষণ ছাড়া সম্ভব নয়। শিখতে কোনো সমস্যা নেই, তাই আমরা তাদের শেখানোর উদ্যোগ নেবো।’
এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির সমস্যা তো আছেই। তবে এটা (ভূমি মন্ত্রণালয়) সার্ভিস অরিয়েন্টেড মিনিস্ট্রি। সেজন্য জনগণের সম্পৃক্ততা বেশি। এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাচ্ছি। তাহলে দুর্নীতি কমে যাবে।’
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারি এবং ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলি পাটোয়ারি বক্তব্য রাখেন।