সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চন্দনী গ্রামে হত্যার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াকুব আলী ছৈয়াল (৪৮) চান্দনী গ্রামের মৃত আরশেদ আলী ছৈয়ালের ছেলে এবং এলাকায় ইট, বালু, রড ও সিমেন্টের ব্যবসা করতেন।
ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক বেপারী বলেন, সকালে ইয়াকুব আলী তার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে কলাবাগান যাচ্ছিলেন। পথে আবু সিদ্দিক ঢালীর বাড়ির সামনে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া পথে তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, ভোজেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ শিকদারের হুকুমে আবু সিদ্দিক ঢালী, জুলহাস ঢালী, নয়ন শিকদারসহ প্রায় ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ দল পরিকল্পিতভাবে ইয়াকুবকে কুপিয়ে হত্যা করে।
অভিযোগের বিষয়ে ভোজেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ শিকদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা চেয়ারম্যান নুরুল হক বেপারী অভিযোগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ভিত্তিহীন, বানোয়াট। রোজার আগে ইয়াকুব ও তার লোকজন মিলে আবু সিদ্দিক ঢালীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। সেই মামলায় জেল খেটে জামিনে বের হয়ে ইয়াকুব আবার আবু সিদ্দিকের বাড়ি গিয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারিতে ইয়াকুব গুরুতর আহত হয়ে মারা যায়।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন ব্যবসায়ীক ইয়াকুব আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যার সাথে জড়িত কয়েকজনের নাম আমরা পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করছি না। এলাকায় পুলিশি মোতয়েন করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।