১৯৭১ সালের এ দিনে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিকসহ অন্যান্য মেধাবী ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। পরে তাদের মরদেহ রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়।
পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ঠাণ্ডা মাথায় এ গণহত্যা চালায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যাতে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. ডালিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ডা. ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন, সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সান্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান, এএনএম গোলাম মুস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক ও সেলিনা পারভিন।
সরকার, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিস্তারিত কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর সম্মান জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় শহীদদের প্রতি সশস্ত্র সালাম জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।
এছাড়া, শহীদ পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানান।