জাতি আজ মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে। ১৯৭১ সালের এই গৌরবোজ্জ্বল দিনে দীর্ঘ ৯ মাসের নৃশংস যুদ্ধশেষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দেশ-বিদেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ৫৩তম বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
তাদের অনুসরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানান।
পরে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সারা দেশে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘর বিনা টিকিটে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং হলগুলোতে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও পোস্টার প্রদর্শন করা হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো একই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ সম্পূরক প্রকাশ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে।
নগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বিনা মূল্যে রাজধানীর শিশু পার্কে যেতে পারবে। সারা দেশের কারাগার, হাসপাতাল, এতিমখানায় ভালো খাবার পরিবেশন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা