শহীদ
শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে বিজয় দিবস
জাতি আজ মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে। ১৯৭১ সালের এই গৌরবোজ্জ্বল দিনে দীর্ঘ ৯ মাসের নৃশংস যুদ্ধশেষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দেশ-বিদেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ৫৩তম বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
তাদের অনুসরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানান।
পরে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সারা দেশে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘর বিনা টিকিটে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং হলগুলোতে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও পোস্টার প্রদর্শন করা হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো একই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ সম্পূরক প্রকাশ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে।
নগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বিনা মূল্যে রাজধানীর শিশু পার্কে যেতে পারবে। সারা দেশের কারাগার, হাসপাতাল, এতিমখানায় ভালো খাবার পরিবেশন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শেখ হাসিনা সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী থেকে আগত একটি চৌকস কন্টিনজেন্ট এ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, ৩ বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ সেসময় উপস্থিত ছিলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতি ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জাতির পিতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন শনিবার ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জাতির পিতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সেখানে দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বঙ্গভবনের লনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টাবৃন্দ, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিবৃন্দ, ৩ বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, শিল্পীবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ বীরত্ব পদকপ্রাপ্তদের পরিবারবর্গ এবং বিশিষ্ট নাগরিকগণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারাও সেখানে যোগ দেবেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল নির্বাচিত
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও সেমিনার, মিট দ্য প্রেস এবং আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপ-কমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলম।
আলোচনা অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা।
বক্তারা বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তারা বলেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের প্রক্রিয়া বন্ধ করা এবং সাম্প্রদায়িকতা রুখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশ নির্মাণের তাগিদ আজ জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যে কোনো মূল্যে সমুন্নত রাখতে হবে। আজ কেন সাম্প্রদায়িকতা বাড়ছে, কেন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে সে প্রশ্ন করার সময় হয়েছে।
তিনি বলেন, কখনো কখনো সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ থাকে না, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, সার্বভৌমত্বের প্রয়োজনে, অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে পক্ষ নিতে হয়। অন্যদিকে গণতন্ত্র না থাকলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকে না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্মান জানাতে হলে আজ আমাদের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিপক্ষে কথা বলতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নের স্বার্থে, সুস্থ রাজনীতির স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাবের, শহীদুল্লাহ কায়সার ও শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাংবাদিকদের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বেছে বেছে সাংবাদিকদের টার্গেট করা হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন আলোচকরা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম ও বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, মো. আশরাফ আলী, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, শাহনাজ বেগম পলি।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার দিবসে প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহান নেতা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় স্যালুট পেশ করে এবং বিউগল বাজানো হয়।
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
পরে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পাশে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: সফররত দুই মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
ধানমন্ডি থেকে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে যান যেখানে তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী তাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং পাপড়ি বিছিয়ে দেন।
তিনি ১৫ আগস্টের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা ও দোয়া করেন।
উভয় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা তার সঙ্গে ছিলেন।
শেখ মুজিবুর রহমান, তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তার তিন ছেলে - শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং মুজিবের তিন নিকটাত্মীয়ের পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সেনা সদস্য হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা ওই সময় বিদেশে অবস্থান করায় হত্যাকাণ্ড থেকে রক্ষা পান।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
বঙ্গবন্ধু, যুদ্ধ ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
আট শহীদের কবরের উপর নির্মিত স্মৃতিসৌধ 'আটকবর'
চুয়াডাঙ্গায় স্থানীয় শহীদ দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহে আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখ সমরে শহীদ হন। দেশ স্বাধীনের পর আট শহীদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে ৫ আগস্ট স্থানীয় শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ দিনটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অত্যন্ত মর্মান্তিক ও স্মরণীয় দিন।
আর এই আট শহীদের কবরের উপর নির্মিত স্মৃতিসৌধেই শ্রদ্ধা জানিয়ে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বছর স্মরণ করা হয়।
এদিনে সম্মুখ সমরে বেঁচে ফেরা মুক্তিযোদ্ধা আসগর আলী ফটিক জানান, ৫ আগস্ট সকালে পাকিস্তানি দালাল কুবাদ খানের দুজন লোক চতুরতার আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে এসে খবর দেয়, রাজাকাররা তাদের ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তাদের এ কথা বিশ্বাস করে মুক্তিযোদ্ধা হাসান জামানের নেতৃত্বে আমরা একদল মুক্তিযোদ্ধা অস্ত্র নিয়ে বাগোয়ান গ্রামের মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিমে দু দলে বিভক্ত হয়ে অগ্রসর হতে থাকি। নাটুদহ ক্যাম্পের পাকসেনারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠের আখখেতে অ্যাম্বুস অবস্থায় লুকিয়ে থাকে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের অ্যাম্বুশের মধ্যে পড়ে যাই।
এখানে পাকসেনাদের সঙ্গে আমাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ সময় আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের কৌশলে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে শত্রুকে আক্রমণ করতে থাকি। এ অবস্থায় যেকোনো একজনকে কাভারিং ফায়ার দিয়ে নিজ দলকে বাঁচাতে হয়। মুক্তিযোদ্ধা হাসান জামান সেই ফায়ারের দায়িত্ব নিয়ে শহীদ হন। এ সময় অন্য সাথীদের বাঁচাতে সক্ষম হলেও সম্মুখ সমরে শহীদ হন আটজন বীর। ওই সম্মুখ যুদ্ধে পাকবাহিনীর অনেক সদস্য হতাহত হয়।
পরে জগন্নাথপুর গ্রামের মুক্তিকামী মানুষ রাস্তার পাশে দুটি কবরে চারজন করে আটজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মৃতদেহ দাফন করেন।
কালক্রমে এই আটজন মুক্তিযোদ্ধার কবরকে ঘিরেই এ স্থানটির নামকরণ হয়েছে আটকবর।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ৫ আগস্ট জেলার আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধা- হাসান জামান, সাইফুদ্দিন তারেক, রওশন আলম, আলাউল ইসলাম খোকন, আবুল কাশেম, রবিউল ইসলাম, কিয়ামুদ্দিন ও আফাজ উদ্দীন সম্মুখ সমরে শহীদ হন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাছভর্তি বালতির পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির গভীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সোমবার শপথ নেওয়া সাহাবুদ্দিন বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু, যুদ্ধ ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল সে সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পরে রাষ্ট্রপ্রধান, যিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সুপ্রিম কমান্ডার, সেখানে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপ্রধান শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বিডিইউ উপাচার্যের অভিনন্দন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৪তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। ২০০৯ সালের এই হত্যাযজ্ঞে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন শহীদদের প্রতি দেশের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিবসটি উপলক্ষে বিজিবি কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবির আহমেদ যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিজিবি’র সকল স্থাপনায় বাহিনীর পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং সকল সদস্য কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন।
আরও পড়ুন: বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ
এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আশরাফুল হক, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং নিহত কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলাকালে পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে কয়েকশ' বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমানে বিজিবি) সদস্য সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।
পরদিন তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
এ ঘটনায় হত্যা ও লুটপাট এবং বিদ্রোহসহ মোট ৫৮টি মামলা করা হয়।
হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ২৭৭ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
আসামিদের মধ্যে ২৬২ জনকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অন্যদিকে ৫৭টি বিদ্রোহ মামলায় পাঁচ হাজার ৯২৬ জন বিডিআর সদস্যকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘পিলখানা বিদ্রোহের দিন খালেদার লুকিয়ে থাকার রহস্য উদ্ঘাটিত হলে সত্য বেরিয়ে আসবে’
বিজয় দিবস: মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা বিএনপির
বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ দলটির সিনিয়র নেতারা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে তারা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিএনপি নেতারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতও করেন।
খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের এই বিজয়ের দিনে আমরা আশা করি, প্রত্যাশা করি- বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদী সরকারের অবসান হবে, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে।’
আরও পড়ুন: শুক্রবার রাজধানীতে ‘বিজয় দিবসের’ র্যালি করবে বিএনপি
জঙ্গিবাদের সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে, বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাস বিকৃত করেছে। তারা তাদের সুবিধা মতো কথা বলে। জনগণ কিন্তু সচেতন। জনগণই বিচার করবে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) সঠিক, না জনগণ সঠিক।’
দুপুর আড়াইটার দিকে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে বিএনপি। বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠনও সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে। এর আগে সকালে তারা বিজয় দিবস উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার জাতি পালন করেছে বিজয় দিবস।
আরও পড়ুন: মহান বিজয় দিবসে জাতীয় কর্মসূচি
বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলায় ৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস শনিবার
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার অঙ্গীকার নিয়ে শনিবার বাংলাদেশে ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হবে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরস্ত্র বাঙালির বিরুদ্ধে পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের পর ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
৩০ লাখ মানুষের প্রাণ এবং দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ২১ বার তোপধ্বনি ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু হবে।
সকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ নাটক ‘নিহত নক্ষত্র’
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে।
জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ সম্প্রচার করবে এবং বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি রেডিও স্টেশন এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শিশুদের জন্য সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ওপর চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবে।
মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারকে সম্মাননা দেয়া হবে। বাংলাদেশ ডাকঘর বিভাগ দিবসটি উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবে।
এদিকে দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল করবে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন।
দিবসটির প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ-বিদেশে থাকা সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, ‘স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের অবশ্যই জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন, সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য সহনশীলতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সুসংহত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নিশ্চিত করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে একই সঙ্গে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা মুজিব বর্ষের ২০২০-২১ সালের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে পেরেছি।’
তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ লালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি মোকাবিলার শপথ নিয়ে আ. লীগের বিজয় শোভাযাত্রা