শিক্ষকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৭৮তম জরুরি সভায় ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৭ জানুয়ারি হলসমূহ খুলে দেয়া ও ৯ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সেকশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান পরিস্থিতিতে ৭৭তম সিন্ডিকেটের সভায় দ্বিতীয় দফায় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছিল। সে ধারাবাহিকতায় ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় কুয়েটের ৭৮তম সিন্ডিকেটের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভাইস চ্যান্সেলর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। সভায় ৭ জানুয়ারি হল সমূহ খুলে দেয়া ও ৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে কুয়েট প্রশাসনকে অবহিত করেছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ২ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ৭৬তম জরুরি সভায় ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর ও ৭৭তম সভায় তা বাড়িয়ে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছিল প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে গত ৩০ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন।
এদিকে, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর ১৫ ডিসেম্বর সকালে শিক্ষক সেলিম হোসেনের লাশ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়। এরপর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য লাশ ঢাকায় পাঠানো হয়। ১৬ ডিসেম্বর রাতে লাশ কুষ্টিয়া পৌঁছানোর পর একই কবরে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েট বন্ধের সময় আরও বাড়ল