শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ’বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা: বাস্তবায়নে গতি প্রকৃতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সবার মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সমতা অর্জিত হয়েছে। শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়া এবং সব পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল পেপারলেস করা হয়েছে। ভর্তি, পরীক্ষা গ্রহণ এবং ফল প্রকাশ সময়মত হচ্ছে।’
প্রায় সব শিশু এখন স্কুলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি শিশুকে বছরের প্রথমদিন বই দেয়া হচ্ছে। এবছর প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৫ কোটি ৪২ লাখ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক দেয়ার ফলে ঝরে পড়ার হার কমছে।
সাধারণ বৃত্তি, উপবৃত্তি ও মেধাবৃত্তিসহ দুই কোটি ৬৬ লাখ শিক্ষার্থী বৃত্তি পায় বলে জানান মন্ত্রী।
নাহিদ আরো বলেন, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষকের সংকট রয়েছে। দেশে বর্তমানে সাত হাজারের বেশি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ শিক্ষার প্রসার ও মান বাড়াতে আরো মানসম্পন্ন শিক্ষক প্রয়োজন। শিক্ষকদের মান বৃদ্ধির জন্য সিঙ্গাপুরের নানিয়ান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ১ হাজার ১৫০ জন শিক্ষককে ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। চীনে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে ৫৮১ জন শিক্ষককে।
‘দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে ভবিষ্যতে অবশ্যই কারিগরি শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ২০২০ সালে কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণ ২০ ভাগে উন্নীত করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে অবকাঠামো নির্মাণে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। ২০২০ সাল নাগাদ প্রায় ২৪ হাজার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে।