আগে শুধু ঢাকায় ভর্তি পরীক্ষা হলেও এবার বিভাগজুড়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমরা অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোভিড-১৯ বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা প্রাথমিকভাবে বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দেশের বিভাগগুলোতে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার পরে কেন্দ্র স্থাপন এবং পরীক্ষা নিতে রাজি আছি।’
মঙ্গলবার উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ডিনস কমিটির এক বৈঠকে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভার সূত্র জানায়, ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ১০ করে মোট ২০ নম্বর সংরক্ষিত থাকবে। বাকি ৮০ নম্বরের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগে এসএসসি এবং এইচএসসির ফলাফল মূল্যায়নের জন্য ৮০ নম্বর বরাদ্দ ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিনস কমিটির এক সদস্য জানান, সম্ভবত লিখিত পরীক্ষার জন্য ৫০ এবং এমসিকিউর জন্য ৩০ নম্বর রাখা হবে। গত শিক্ষাবর্ষে এটা ছিল যথাক্রমে ৪৫ এবং ৭৫।
সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম জানান, পরীক্ষার ৮০ নম্বর বণ্টন নির্ধারণ করা হয়নি তবে তারা লিখিত অংশে বেশি অগ্রাধিকার দেবেন।
বিভিন্ন ইউনিটে (এ/বি/সি/ডি) আবেদনের ন্যূনতম মানদণ্ড একই থাকছে এবং কর্তৃপক্ষ এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের পরে ভর্তি সংক্রান্ত তারিখগুলো ঠিক করবে।
সাধারণত এইচএসসির ফলাফল মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশিত হত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা নিত। তবে এ বছর এইচএসসির ফলাফল ডিসেম্বরে প্রকাশিত হবে এবং বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখগুলো পরে নির্ধারণ করা হবে।
এ বছর সবমিলিয়ে ১৩ লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থী পাস করবে। এটি মূলত তাদের সবাইকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য করে তুলবে।
দেশে ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬০ হাজার আসন রয়েছে।