ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাবির রাজনীতিবিষয়ক বিশেষ কমিটির কার্যক্রম শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরণ ও অনুশীলনের বিষয়গুলো যাচাইয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটি কাজ শুরু করেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট হলে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শ্যামা হক বিদিশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল মতিনকে নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- তাহমিদা বেগম, বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা।
বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, আবাসিক হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কোন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে মূল অংশীজনদের আলোচনা, পরামর্শ ও প্রতিক্রিয়া সহজ করতে একটি পরামর্শ বাক্স স্থাপন ও বিশেষ ই-মেইল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক, ডাকসুর সাবেক নেতা ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় করা হবে।
কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রকৃতি ও অনুশীলন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন
৪ সপ্তাহ আগে
পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি বাতিলের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি বাতিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফাকে 'ইসলাম বিদ্বেষী' আখ্যা দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কিছু শিক্ষার্থী।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক সামিনা লুৎফাকে 'ইসলাম বিদ্বেষী' হিসেবে আখ্যায়িত করা নিয়ে সমাবেশে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র আন্দোলনে অধ্যাপক সামিনা লুৎফার উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, এ ধরনের ভিত্তিহীন লেবেলিং বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেও এর দুই সদস্যের বিষয়ে কিছু ধর্মীয় সংগঠনের আপত্তির পরে তা বাতিল করে দেয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
২ মাস আগে
তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত অভিযোগে ঢাবির ৮ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক তিন নেতা আছেন। তারা হলেন- সংগঠনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সাবেক উপসম্পাদক জালাল আহমেদ, গণযোগাযোগ ও উন্নয়নবিষয়ক সাবেক সম্পাদক আহসান উল্লাহ এবং আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আল হোসেন সাজ্জাদ।
বহিষ্কৃত অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন- মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন; পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মুত্তাকিন সাকিন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের মো. ফিরোজ কবির, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থী মো. আব্দুস সামাদ ও ওয়াজিবুল আলম।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
এজাহারভুক্ত আট আসামির মধ্যে জালাল মিয়া, মোহাম্মদ সুমন, আহসান উল্লাহ, মুত্তাকিন সাকিন, আল হোসেন সাজ্জাদ ও ওয়াজিবুল আলমকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্টকে অপসারণ এবং এই পদ পূরণের জন্য নতুন প্রভোস্ট নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: গণপিটুনির প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল
৩ মাস আগে
ঢাবি ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্যের লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সভায় উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ অন্যান্য সিন্ডিকেট সদস্যরা ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিন্ডিকেটের এক সদস্য জানান, সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পৌনে ৮টা পর্যন্ত বৈঠক চলে।
সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য বলেন, বৈঠকের মূল আলোচ্য ছাত্র রাজনীতি থাকলেও এই সিদ্ধান্তের ফলে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৩ মাস আগে
গণপিটুনির প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনি ও খাগড়াছড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিনভর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের নেতৃত্বে মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণপিটুনির বিচারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্য এলাকায় মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফজলুল হক মুসলিম হলের ভেতরে ওই ব্যক্তিকে হত্যার প্রতিবাদে 'নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন এক পরিবেশ তৈরি করছে, যেখানে 'মোবোক্রেসি'কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই নৃসংশ মৃত্যু হয়েছে।
বিকেল থেকেই বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাবি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে রাস্তায় নেমে আসেন। সন্ধ্যায় তারা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন করে 'গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট'। ছাত্র রাজনীতি গণপিটুনির মূল কারণ নয়। তাই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা অযৌক্তিক বলে তারা দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, প্রশাসন প্রতিটি হল সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বিধিনিষেধের সমালোচনা করে বলেন, প্রশাসনের গাফিলতি হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে 'স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ' ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন হলের আরেক দল শিক্ষার্থী। তারা জড়িতদের বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
একই সঙ্গে খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী-আনসার সদস্যদের সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন
৩ মাস আগে
ঢাবি ক্যাম্পাসে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে চোর সন্দেহে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাসহ চার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন জানান, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে শিক্ষার্থীদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তারা হলেন- ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ; মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোত্তাকিন সামিন; খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ সুমন মিয়া এবং ভূগোল বিভাগের সাজ্জাদ আবু সাঈদ।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
এর আগে এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় হলের ভেতরে ঢুকে পড়েন তোফাজ্জল নামে ওই ব্যক্তি। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে আটকে রেখে, আগের দিন হল থেকে হারিয়ে যাওয়া ছয়টি মোবাইল ফোন সেট ও মানিব্যাগ চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ওই যুবক বলেন, যদি তাকে কিছু খেতে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি আসল চোরদের কথা বলবেন।
ছাত্ররা তাকে ভাত খাওয়ান। কিন্তু ওই যুবক আসল চোরদের বিষয়ে তথ্য দিতে পারেননি। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাত ১০টা থেকে শুরু করে দুই ঘণ্টা ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
বিষয়টি প্রক্টরিয়াল টিমকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত তোফাজ্জলকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কেউ কেউ জানান, তোফাজ্জল একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরীহ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ঢাবির আহ্বান
নিহত তোফাজ্জল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা। অনেক আগেই তার বাবা-মা দুজনই মারা গেছেন।
এ ঘটনায় ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষক ড. আলমগীর কবিরকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ড. মোহাম্মদ শফিউল আলম খান, অধ্যাপক জহির রায়হান, মোহাম্মদ মাহাবুব আলম, ড. আসিব আহমেদ, ড. তৌহিদুল ইসলাম ও এ কে এম নূরে আলম সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: প্রশাসনের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান, ঢাবিতে সংঘর্ষ
৩ মাস আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য হলেন অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিন এ নিয়োগ দেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ পারিশ্রমিক পাবেন।
তিনি বিধি মোতাবেক এ পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই স্থায়ীভাবে অবস্থান করবেন।
জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
সায়েমা হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার পর যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি এবং যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শ্রম অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তিনি বিভিন্ন নীতি নথি এবং সরকারি ফ্ল্যাগশিপ অবজেক্ট তৈরিতেও অবদান রেখেছেন।
অধ্যাপক সায়েমা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের সংস্থার সঙ্গেও কাজ করেছেন।
তিনি জার্নাল নিবন্ধ, বইয়ের অধ্যায় এবং বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন সহ বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রকাশনা প্রকাশ করেছেন।
৩ মাস আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবির উপাচার্য, প্রক্টর ও উপদেষ্টাসহ ৩ জনের পদত্যাগ
হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট প্রক্টরিয়াল টিমের পদত্যাগের পর প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরের পদ শূন্য হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ) এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে (ইউএপি) শিক্ষকতা করেছেন সাইফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি শাবিপ্রবির সহকারী প্রক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার চারটি বই এবং ১৭টি জার্নাল নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
অধ্যাপক সাইফুদ্দিন শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে সব অংশীজনদের মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্টেকহোল্ডারদের সমর্থন প্রত্যাশা করি। এ লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: আন্দোলনের মুখে ববির ভিসি-প্রক্টরসহ ২০ জনের পদত্যাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের পদত্যাগ
৩ মাস আগে
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ঢাবির কলা ও চারুকলা অনুষদের ডিনদের পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ও চারুকলা অনুষদের ডিনরা।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভের সময় নিপীড়কদের পক্ষ নেওয়া এবং নিজের দায়িত্ব পালনে অযোগ্য অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বশির পদত্যাগ করেন।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেন, অধ্যাপক আবদুল বশির রমজান মাসে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতে বাধা দিয়েছেন। তার পদত্যাগের পর শিক্ষার্থীরা তার কার্যালয়ের জড়ো হয়ে পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে এবং তার সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য দোয়া করে।
সেসময় অধ্যাপক বশির উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদত্যাগের দাবিতে ডিন কার্যালয়ে যান।
পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিছার উদ্দিনও পদত্যাগ করেন।
এসময় আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরার তাদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রহমতউল্লাহর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
তার অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ডিন অফিস তালা মেরে সিলগালা করে দেয়।
৪ মাস আগে
নিরীহ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ঢাবির আহ্বান
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলমের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হলে প্রক্টর অফিসে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এই জাতীয় ঘটনায় সম্ভাব্য সব সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
৪ মাস আগে