সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর মঙ্গলবার সকালে অনেক শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগ করে চলে যেতে দেখা যায়।
এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবিতে সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় ক্যাম্পাসে প্রবেশের মূল ফটক ও প্রশাসনিক ভবন বন্ধ করে দেয়া হয়। আন্দোলনকারীরা দুপুরে ভিসিকে দ্বিতীয় দফায় তার বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পাবনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পাবনা সদর থানার ওসি ওবায়দুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিষয়টি প্রশাসন আমাদের অবহিত করলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসনের কাছে ৬ দফা দাবি তুলে ধরে, এরপর এবং দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসও দেয়া হয়। কিন্ত ৩/৪ মাস অতিবাহিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো এয়ারড্রপ পদ্ধতি বাতিল, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষসহ পরবর্তী সকল ব্যাচ সমূহের অর্ডিন্যান্সের আওতাভুক্ত করা, হলের ডাইনিংয়ের খাবার উন্নয়নের জন্য ভর্তূকি প্রদান, ক্লাস রুম ও চেয়ার সংকট দূর করা, পরিবহন সংকট দুর করা, ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা করা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা।
পাবিপ্রবির প্রক্টর প্রীতম কুমার দাস বলেন, সাধারন ছাত্রদের ব্যানারে যেসব দাবি করা হয়েছে সেগুলোর অনেকগুলোই ইতোমধ্যে পুরণ করা হয়েছে এবং কিছু বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রোস্তম আলী বলেন, রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ১৬ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।