বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শিগগিরই প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসন শুরুর চিন্তাভাবনা করছি। আমি এই মুহূর্তে তারিখ বলতে পারব না। তিন হাজরের অধিক (রোহিঙ্গা নামের) ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।’
রাজধানীর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে অংশগ্রহণ শেষ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি এ বিষয়ে অধিক কিছু বলতে পারবেন না। তবে বাংলাদেশ সতর্ক থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রত্যাবাসন এ বছর শুরু হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বললাম তো....শিগগিরই। দেখা যাক।’
গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে নতুন করে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই সাথে জেলার বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরে আগে থেকে আরো অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে গত ১১ আগস্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পরিদর্শন করে। প্রতিনিধিদলে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ছাড়াও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা যোগ দেন। তারা সেখানকার মানুষ যে ব্যাপক ধ্বংসলীলা ভোগ করেছেন তার নজির দেখেছেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রতিনিধিদলটি প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া এবং ঘরবাড়ি ও গ্রাম নির্মাণের ওপর জোর দেন।
সফর থেকে ফিরে এসে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক পুনরায় বলেন, যেকোনো দেশে প্রত্যাবাসন একটি খুব জটিল ও কঠিন বিষয়, যা রাতারাতি করা সম্ভব নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কী প্রস্তুতি নিয়েছে তা দেখিয়েছে। আমি বলব যে কিছু করা হয়েছে।’ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তাড়াহুড়া করে কাজ করা সমীচীন হবে না।