মুন্সীগঞ্জে শিশু ধর্ষণের দুই মামলায় ছয় মাস পালিয়ে বেড়ানোর পর বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
ধর্ষণ মামলায় আগেও ৫ বছর জেল খেটেছে মহসিন। তবুও শিশুর প্রতি এই পাশবিকতা ছাড়তে পারেনি সে। শিশু ধর্ষণই নাকি তার নেশা!
আর শিশুর প্রতি এই পাশবিক নির্যাতন চালানোর উদ্দেশ্যে প্রতি রাতেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতো। এমন কথাই জানিয়েছে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) গাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, শিশু ধর্ষণের দুই মামলার পলাতক আসামি মহসিনকে একাধিকবার গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলেও সে পুলিশি ফাঁদ বুঝতে পেরে পালিয়ে যায়। ছয় মাস ধরে বিশেষ অভিযান পরিচালনার পর তাকে বুধবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, ২০০১ সালে শিশু ধর্ষণ মামলায় পাঁচ বছর জেলে খেটে বের হয়েছে বলে মহসিন মৌখিকভাবে স্বীকার করে। তবে মামলাটির সত্যতা যাচাই-বাছাই চলছে। রাত ১২টার পর সপ্তাহে ২-১ দিন মুন্সীগঞ্জের বিনোদপুর এলাকায় ধর্ষণসহ চুরি, ছিনতাই করার উদ্দেশে ঘুরে বেড়াতো সে। আত্মগোপনে থাকার জন্য সে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার ডেমরা এলাকায় ভাসমানভাবে অবস্থান করে আসছিল। নির্দিষ্ট করে তার কোনো ঠিকানা নেই। ধর্ষণ মামলা দুটির সুরহা না হওয়ায় পুলিশ সুপারের বিশেষ নির্দেশে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করা হয়।
ওসি আরো জানান, ৫-১০ বছরের শিশুদের ধর্ষণের উদ্দেশ্যে সে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে আসছিল। শিশু ধর্ষণই ছিল তার নেশা। তার পরিচয় কেউ যাতে চিহ্নিত না করতে পারে তার জন্য বিশেষ পন্থা অবলম্বন করতো। তবে দীর্ঘদিন আগে বাড়ি-ঘর বিক্রি করে এলাকা থেকে চলে যায় মহসিন।