বৃহস্পতিবার জাতীয় যুব দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে যুবসমাজের সৃজনশীলতা, আত্মপ্রত্যয় ও কর্মস্পৃহার প্রতি আস্থা রেখে এ বছর জাতীয় যুব দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘দক্ষ যুব গড়ছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির বর্ণনা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টায় আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন শেখ রাসেল স্কেটিং মাঠের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য যুব র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৮ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে যুব মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতে অনুরূপ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। প্রশিক্ষিত সকল যুবক ও নারীদের মধ্য হতে আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প স্থাপনে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ২২ জন সফল আত্মকর্মী যুব ও ৫ জন সফল যুব সংগঠকসহ মোট ২৭ জনকে এ বছর জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে যুবদের পুরস্কার প্রদান করবেন।
জাহিদ আহসান রাসেল উল্লেখ করেন, দেশের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যুব সমাজের কল্যাণে বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অঙ্গীকার রয়েছে। এবারকার নির্বাচনী ইশতেহারে অন্যতম প্রতিপাদ্য ছিল তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। তাই যুব সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে বেকার যুবকদের উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রশিক্ষণোত্তর আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তাদের ঋণ প্রদান, দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি , সর্বোপরি ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অমিত সম্ভাবনার এ যুব সমাজকে কাজে লাগানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে অধিদপ্তরের কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আরও বিস্তৃত করে দেশে এবং বিদেশে যুবকদের অধিক হারে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে বর্তমান যুববান্ধব সরকার বদ্ধপরিকর।