দিবস
চার দিবস সামনে রেখে সেজে উঠেছে ‘ফুলের রাজধানী’ গদখালি
নববর্ষসহ চার দিবসকে সামনে রেখে উৎসবের আমেজে সেজে উঠেছে ‘ফুলের রাজধানী’ খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি। আসন্ন নতুন বছরকে কেন্দ্র করে গদখালিতে বিপুল অঙ্কের ফুল বিকিকিনি হবে বলে আশা করছেন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর গদখালিতে ৬৩৮ হেক্টর জমিতে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা ধরনের ফুলের চাষ করেছেন চাষিরা। শীতকালের এই সময়টাকে ফুলের ভরা মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই মৌসুমেই খ্রিস্টীয় নববর্ষ, বসন্ত উৎসব, ভ্যালেন্টাইন্স ডে ও শহীদ দিবস লক্ষ্য করে চাষিরা ফুলখেতের নিবিড় পরিচর্যা করে থাকেন।
গদখালির পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যেই ফুল তুলতে শুরু করেছেন চাষিরা। ভোর থেকেই রঙিন ফুলের ঝুড়ি নিয়ে বাজারে ভিড় করছেন তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে মোকাম। তাই গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বেশি লাভবান হওয়ার আশা করছেন চাষিরা।
বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর রজনীগন্ধার গুচ্ছ ১০ থেকে ১৫ টাকা, গাঁদা হাজার প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা এবং গোলাপ প্রকারভেদে প্রতিটি ৪ থেকে ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
২ দিন আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আগামীকাল
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে পরিকল্পিতভাবে নিহত বুদ্ধিজীবী স্মৃতিচারণে জাতি আগামীকাল (শনিবার) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করবে।
১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিল্পী, শিক্ষকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়।
পরে তাদের লাশ রাজধানীর রায়েরবাজার, মিরপুরসহ কয়েকটি বধ্যভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়।
পরাজয় আসন্ন বুঝতে করতে পেরে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকারের মতো স্থানীয় দোসররা দেশের বুদ্ধিজীবী সমাজকে নিশ্চিহ্ন করে এবং উদীয়মান বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার লক্ষ্যে ঠান্ডা মাথায় এই গণহত্যা চালায়।
বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- ড. আলীম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এস এ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক ও সেলিনা পারভীন প্রমুখ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ ডিসেম্বরের ট্র্যাজেডির স্মরণে বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতি স্মরণ করছে সূর্যসন্তানদের
রাষ্ট্রপতি এক বাণীতে বলেন, 'আমি বৈষম্যহীন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তার বাণীতে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বানও জানান তিনি।
এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
শনিবার বাদ জোহর দিবসটি উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
৩৭০ দিন আগে
৮ দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক যুক্ত বিবৃতিতে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেছেন, 'অপশক্তির অবৈধ সরকার কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত দেখে দেশের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষের মতো আমরা প্রবাসীরাও অবাক হয়েছি।’
তারা বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের দোসররা মানুষ হত্যা ও জঙ্গি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে ৫ আগস্ট নির্বাচিত সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তারা পাকিস্তানিদের মাস্টারপ্ল্যান মতো সর্ব প্রথম বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। ঢাকাসহ সারা দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও ম্যুরাল এবং মুক্তি সংগ্রামের স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে শাখা কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, সন্ত্রাস চলছে। আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শতশত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। এই অর্জনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাকে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যরা। তাদের অবদান মুছে ফেলা যাবে না। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিবস ও ১৭ মার্চের শিশু দিবস ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। ১৫ আগস্ট বাঙালির সবচেয়ে বড় শোক দিবস। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এইসব দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
'রিসেট বাটন চেপে ইতিহাস মুছার নজির বিশ্বে নাই। কাজেই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির জাতীয় ইতিহাস মুছে ফেলা অসম্ভব,’ বলে উল্লেখ করেন নেতারা।
৪২৭ দিন আগে
ব্রুনাইয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন
যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন করেছে ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে অংশ নেন দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আরও পড়ুন: পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি শুরু
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ও তার পরিবারের সদস্য, চার জাতীয় নেতা ও শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
উপস্থিত সবাইকে মুজিবনগর দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ঘটনাবলী সম্পর্কিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
মুজিবনগর দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য উপস্থিত সবার নিকট তুলে ধরেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
তিনি তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙ্গালী হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন, শপথ গ্রহণ ও কার্যক্রম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিল।
তিনি গর্বের সঙ্গে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও অসীম সাহসিকতাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল চালিকাশক্তি। সমগ্র বাঙালী জাতিকে বাঙালী জাতীয়তাবোধ, এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের চেতনায় অনুপ্রাণিত ও একতাবদ্ধ করে নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে শক্তিশালী পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে যে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল, সেই মহান কীর্তিগাথার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এক রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, এনার্জি ও তথ্য প্রযুক্তিসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। তারই বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম-আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে থাকবে বাংলাদেশ।
তিনি সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার উদ্যোগ সফল করতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে পরিশ্রম করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করছে জাতি
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৬১০ দিন আগে
রিয়াদে গণহত্যা দিবস পালিত
সোমবার (২৫ মার্চ) সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সব শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: আজ গণহত্যা দিবস
দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যা তৎকালীন ইপিআর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার মানুষ।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ১৯৭১ সালে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জরুরি। আর এ স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটি, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মিশন উপ প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা, ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন রিয়াদে বাংলাদেশি কমিউনিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যবসায়ী এম আর মাহাবুব।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা
বক্তারা সবাই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সংঘটিত ভয়াল গণহত্যার বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।
৬৩৩ দিন আগে
আজ গণহত্যা দিবস
দেশে আজ গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার জনগণের ইচ্ছাকে দমনের চূড়ান্ত উপায় হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে বর্বর গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এরপরও মাত্র ৯ মাসেরও কম সময়ের যুদ্ধে বাঙালিদের স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর বিজীয় আওয়াী লীগকে ক্ষমতা গ্রহণে বাধা দেওয়ার নীল নকশা বাস্তবায়নে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ঢাকায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগ চালায়।
'অপারেশন সার্চলাইট' নামের ওই আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের বাঙালি সদস্য ও পুলিশ, ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, বাড়িঘর ও সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালিয়েছে এবং ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে গেছে।
পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার সাক্ষী ছিল ওই রাতটি।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর থেকে দেশে অষ্টমবারের মতো দিনটি সরকারিভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে ক্ষমতাসীনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গণহত্যা নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গীতিধর্মী নাটকের আয়োজন করছে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
এদিকে শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
৬৩৩ দিন আগে
মানবাধিকার দিবসে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। মানবাধিকারের কথা বলে কোনো কোনো দেশকে দমনের চেষ্টা করা হয়। দেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, অথচ বিবৃতিজীবীরা হারিয়ে গেছে।’
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনো কোনো সন্ত্রাসীর পক্ষেও বিবৃতিজীবীরা কেউ কেউ সোচ্চার হয়। কিন্তু সেই সন্ত্রাসী যে এত মানুষ মারল, সেটি নিয়ে কোনো কথাবার্তা নেই। পৃথিবীতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে যেগুলো মূলত মানবাধিকারের ব্যবসা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে সমস্ত বিশ্ববেনিয়া মানবাধিকারের কথা বলে এবং বাংলাদেশেও যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষসহ হাজার হাজার নারী ও শিশুকে হত্যা করা হলো, কিন্তু এ নিয়ে তাদের বা বড় বড় সংগঠনগুলোর কোনো কথা বা বিবৃতি নেই।’
তিনি বলেন, ‘অথচ তারা বরিশালে কোথায় একজন আরেকজনকে ঘুষি মারল, কোথায় কিছু মানুষ একজনকে ধাওয়া করল সেজন্যও বিবৃতি দিয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং এরপর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি এবং সেটিকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা অফিসার ও বিমান বাহিনীর অফিসারদের বিনা বিচারে হত্যা করা, নামের মিল আছে সেজন্যই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া, এমন কি ফাঁসি কার্যকর হবার পর ফাঁসির রায় হয়েছে এমন ঘটনাও আছে।’
তিনি বলেন, ‘তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করা হয়েছে। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘কিছু বিবৃতিজীবী আছে, বিবৃতি দেওয়াই তাদের পেশা। বাংলাদেশেও কিছু আছেন। কিন্তু সবসময় যারা এ ধরনের বিবৃতি দেন, দেশে এখন যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, তাদের বিবৃতি এখন দেখতে পাচ্ছি না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই বিবৃতিজীবীরা কই? জনগণ এদের খুঁজছে, আমিও খুঁজছি। আমি একটু উদ্বিগ্ন তাদের জন্য। তারা জ্বর কিংবা ডেঙ্গুতে আক্রন্ত হলো কি না তা নিয়ে মানুষ চিন্তায় আছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে একই হাসপাতালে একসঙ্গে ৫০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আরেকটি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে হাসপাতালকে অকেজো করে দেওয়ার পর সেখানে আইসিইউতে থাকা সব মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এই ধরনের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বিশ্ববেনিয়ারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছে। আবার ইসরাইলি বাহিনী যাতে ভালোমতো বোমা বর্ষণ করতে পারে সেজন্য সহায়তাও করছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনে আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমি প্রথম থেকেই এটার বিরুদ্ধে সোচ্চার আছি, থাকব। আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীও সোচ্চার আছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে গিয়ে এটার বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। আরব রাষ্ট্রগুলোর সমস্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বসে এই ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করার জন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ হরতাল-অবরোধের ডাক দিতে পারে, সরকার পতনের ডাক দিতে পারে, সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে পারে, এটিই গণতান্ত্রিক ও বহুমাত্রিক সমাজের রীতি। কিন্তু ঘরে বসে সেই ডাক দিয়ে গাড়ির মধ্যে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, সেটি তো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। এগুলো একদিকে যেমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অপরদিকে মানুষের অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করা। আমি আশা করব, সাংবাদিকরা এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলবেন, কলম ধরবেন।’
‘শ্রমিক অধিকারের নামে বড়লোক এজেন্টদের মুখোশ উন্মোচন করুন’
শ্রমিক অধিকারের নামে বছরে ১২ বার বিদেশ সফরকারী দুই-একজন শ্রমিক নেতা কারো এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেখা গেল, আল্পনা-কল্পনা-জল্পনা আক্তাররা বছরে ১২ বার বিদেশ গেছে, ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা বিমান ভাড়া দিয়েছে। এদের কারো কারো আবার গাড়ি আছে, ঢাকা শহরে বড় বড় ফ্ল্যাট আছে।
তিনি বলেন, শ্রমিক সমাবেশে যাওয়ার সময় কিছু দূরে গাড়ি রেখে হেঁটে কিংবা রিকশায় যান, যদি শ্রমিকরা গাড়ি দেখে ফেলে। এরা কারো এজেন্ট হিসেবে যে কাজ করে সেটি আজ স্পষ্ট।
মন্ত্রী বলেন, এ সমস্ত এজেন্টের ব্যাপারেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমি সাংবাদিক সমাজের কাছে অনুরোধ জানাব তাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রুবেল খান, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ‘আগুনসন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
৭৪১ দিন আগে
আগামীকাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, শিক্ষা কার্যক্রমের ৩৩ বছর পূর্তি
আগামীকাল (২৫ নভেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দিবস। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমের ৩৩ বছর পূর্ণ করে ৩৪ বছরে পদার্পন করছে।
খুবি প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আপামর মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা ও ত্যাগ। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাস হয়, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ওই বছর ৩১ জুলাই।
এরপর ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। ১৯৯১ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম ওরিয়েন্টেশন এবং ৩১ আগস্ট ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়।
একই বছরের ২৫ নভেম্বর শিক্ষাকার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রতিবছর এ দিনটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য এ বছর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অংশীজনদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে কালজয়ী মুজিব ও শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। পরে মুক্তমঞ্চে বিভাগ/ডিসিপ্লিনসমূহের গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপনার ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন, সন্ধ্যা ৬টায় গত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনমূহকে সম্মাননা প্রদান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- যোহর নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে প্রার্থনা।
এছাড়া ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি ভবন, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহ আলোকসজ্জা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুবি অ্যালামনাইয়ের 'খুরশীদ-আক্তার' প্যানেলের পরিচিতি সভা ও ইশতেহার ঘোষণা
৭৫৫ দিন আগে
শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস
নানা কর্মসূচি পালনের মধ্যে দিয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উদযাপন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার প্রধান কার্যালয় বলাকায় দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে বিমান সংস্থাটি।
শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম, বিমানের পরিচালক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: ‘শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে শ্রদ্ধা নিবেদন
বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে প্লে-গ্রুপ থেকে সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বলাকা লবিতে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় ‘একটি স্বপ্নের নাম শেখ রাসেল’ নামে একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিমানের মসজিদগুলোতে বাদ জোহর মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া ১৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে বিমানের বহির্গামী সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের শিশু যাত্রীদের মাঝে স্মারক উপহার প্রদান ও ফ্লাইটে শেখ রাসেল দিবসের ঘোষণা প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে শেখ রাসেলকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
৭৯২ দিন আগে
বুধবার শেখ রাসেল দিবস পালিত হবে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সারাদেশে ও বিদেশে দূতাবাসগুলোতে শেখ রাসেল দিবস পালিত হবে।
১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করা শেখ রাসেলকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
সরকার ২০২১ সালে ১৮ অক্টোবরকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।
এ উপলক্ষে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু হবে।
সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আইসিটি বিভাগ ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে।
আরও পড়ুন: রংপুরের শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বিল পাস
দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় বিআইসিসি থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় বিআইসিসিতে শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ উদ্বোধন করবেন এবং শেখ রাসেল পুরস্কার-২০২৩ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ পুরস্কার বিতরণ করবেন।
তিনি শেখ রাসেল অ্যানিমেশন ল্যাব এবং অন্যান্য কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন এবং ১০ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, রোবটিক্স কর্নার, ৫৫৫ জয় সেট সেন্টার, ডুআইসিটি#২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার এবং ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন, দাবা, জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ রাসেল দিবস ২০২৩-এর লোগোও উন্মোচন করেন পলক।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল যুব র্যাপিড দাবা শুক্রবার থেকে শুরু
ক্যানবেরায় শেখ রাসেল দিবস উদযাপন
৭৯৩ দিন আগে