তিনি বলেন, ‘জাতির এ দুঃসময় ও দুর্দিনে এলজিইডির জেলা পর্যায়ে কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলাম কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে তাতে কিছুটা বাধার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সবাই একযোগে কাজ করলে এ বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে আমি আশা করি।’
সোমবার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে সংযুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও এলজিইডির অন্যান্য কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনার উদ্দেশে এ ভিডিও কনফারেন্সের উদ্যোগ নেন।
ভিডিও কনফারেন্সে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীরা তাদের কাজের অগ্রগতি মন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে কী ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছেন তা তুলে ধরেন।
তারা জানান, রাস্তায় মাটি ভরাটসহ কিছু কাজ সামাজিক দূরত্ব মেনে করা সম্ভব হচ্ছে। তবে কার্পেটিং বা ঢালাইয়ের কাজ করতে কিছুটা অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া যেসব শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন তারা নিজ নিজ এলাকায় চলে যাওয়াতে দক্ষ কর্মীর অভাব আছে। পাথর আমদানিতে ও পরিবহনেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। সিমেন্টসহ কিছু উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। তাছাড়া স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির ব্যাপারগুলোও আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন বা ছুটি বাস্তবয়নে কঠোর হওয়ার কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
মন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করছে। কাজেই সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে কেটে যাবে। তারপরও যেসব জায়গায় আমাদের ভূমিকা রাখা দরকার সেটা আমরা করব। আপনারা এডিপি ও অন্যান্য কার্যক্রম যথাযথভাবে এবং গুণগত মান নিশ্চিত করে বাস্তবায়ন করুন। যেসব জেলায় কাজের অগ্রগতিতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে তারা একটু জোর দিয়ে কাজ করলে এ ঘাটতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।’
বেশিরভাগ জেলা ইতোমধ্যে এডিপির প্রায় শতকরা ৭৫-৮০ ভাগ কাজ বাস্তবায়ন করেছে বলে মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শতভাগ অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ভিডিও কনফারেন্সে আরও সংযুক্ত হন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ খান।
এ সময় হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাইকে কর্মস্থলে থাকতে হবে। বড় জনসমাগম পরিহার করে এবং সাবধানতার সাথে কাজ করতে হবে।