সমুদ্র উপকূলীয় ১২ জেলার ৫১ উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮৬টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২৩ দিনের জন্য (১-২৩ জুলাই) ৩০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল প্রদান করা হবে।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১৯ আগস্ট এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ভিজিএফ চাল ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
কার্ডধারী এবং সমুদ্রগামী জেলে ব্যতিত এ ভিজিএফ প্রদান করা যাবে না মর্মে বরাদ্দ আদেশে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জলসীমায় সব প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক সব প্রজাতির মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিস প্রভৃতি) আহরণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
২০১৯-২০ অর্থবছরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে সমুদ্র উপকূলীয় ১২ জেলার ৪৪ উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে সমুদ্রে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৯টি জেলে পরিবারকে প্রথম কিস্তিতে ৪২ দিনের জন্য মোট ২৩ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বিতরণ করেছে সরকার।