বুধবার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডারে যোগদান করা নবীন কর্তকর্তাদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে আজিমপুর কোয়ার্টারে প্রায় এক হাজার ৮০০ এবং মতিঝিল এলাকায় দুই হাজার ৮০০ পরিবার বসবাস করে। আজিমপুর ও মতিঝিল এলাকার জন্য মাস্টার প্লান করা হচ্ছে। এটি চূড়ান্ত হলে দুই এলাকায় প্রায় ২০ হাজার কর্মকর্তার বসবাসের সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে। একই সাথে এসব এলাকায় উন্মুক্ত জায়গার পরিমাণ বাড়বে এবং জলাশয় ও খেলার মাঠসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা যাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো উল্লেখ করেন, বর্তমানে ঢাকা শহরে বসবাসকারী শতকরা আট ভাগ কর্মকর্তা সরকারি আবাসন সুবিধা পান। এ সুবিধা ৪০ ভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর আগের তুলনায় অনেক গতিশীল হয়েছে। একই সাথে এ অধিদপ্তরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বেড়েছে। আগে বিভিন্ন সরকারি আবাসিক ভবন সাধারণত পাঁচ-ছয়তলা করা হতো। এখন এসব ভবন ২০ তলা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যে জাতি স্বপ্ন দেখতে জানে না, সে জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করার সাথে সাথে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছেন এবং সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী মো. রাফিকুল ইসলাম, প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ই/এম) আব্দুল মজিদ।
উল্লেখ্য, ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে গণপূর্ত ক্যাডারে মোট ২৭জন কর্মকর্তা যোগদান করেছেন। এর মধ্যে ১৯ জন সিভিল এবং আট জন ইলেকট্রিক্যাল শাখার।