অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রবাসীসহ দেশের সব নাগরিকের জন্য প্রস্তাবিত পেনশন ব্যবস্থার রূপরেখা নিয়ে সরকার অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো এখনও গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সবার সঙ্গে কথা বলব।’
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরপর দুই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে জনগণের মতামত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ‘জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২’ শিরোনামের একটি খসড়া আইন আপলোড করা হযেছে। আগ্রহীদের এ বছরের ১২ এপ্রিলের মধ্যে তাদের মতামত পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, সরকার প্রবাসীসহ দেশের সকল নাগরিকের জন্য একটি সর্বজনীন সাধারণ পেনশন ব্যবস্থা চালু করবে।
ঘোষণায় তিনি বলেছিলেন, শিগগিরই একটি সরকারি কমিটি গঠন করা হবে এবং এটি আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: দেশের সব নাগরিকের জন্য পেনশন ব্যবস্থা শিগগিরই: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, পেনশন কর্মসূচির অধীনে দেশের ১৮-৫০ বছর বয়সী প্রতিটি নাগরিক একই পরিমাণ সরকারি অনুদানের সঙ্গে তাদের মাসিক আমানত ফেরত পাবেন।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে স্কিমটি নাগরিকদের জন্য ঐচ্ছিক। তবে পরবর্তীতে এটি সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে।
পেনশন প্যাটার্নের বর্ণনা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, নাগরিকরা প্রতি তিন মাস পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দেবেন।
তিনি বলেন, একজন নাগরিককে ৬০ বছর বয়সের পরে এই পেনশন পাওয়ার জন্য কোনও বিরতি ছাড়া টানা ১০ বছরের জন্য অর্থ জমা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, এছাড়া কেউ চাইলে এই প্রকল্প থেকে মোট জমার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে।
আরও পড়ুন: সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রণয়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর