মঙ্গলবার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেয়। তবে ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে থাকা ওসমান গণি রেয়াত সুবিধা পেয়ে ওই সাজা ভোগ করে ২০১৬ সালে কারামুক্তি পেয়েছেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। বন সংরক্ষকের পক্ষে ছিলেন এ এম আমিন উদ্দিন।
খুরশীদ আলম খান জানান, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। এতে করে বিশেষ জজ আদালত তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে যে রায় দিয়েছিল তা বহাল রয়েছে।
অন্যদিকে আমিন উদ্দিন জানান, ওসমান গণি বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা ইতিমধ্যে ভোগ করে কারামুক্তি পেয়েছেন।
২০০৭ সালে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওসমান গণির উত্তরার সরকারি বাসভবনে অভিযান চালিয়ে চালের ড্রাম, বালিশ ও তোষকের ভেতর থেকে এক কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তিনি ‘বনখোকো ওসমান গণি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
দুদক ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই ওসমান গণি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে উত্তরা থানায় মামলা করে। বিচার শেষে ২০০৮ সালের ৫ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়।
সেই সাথে আদালত ওসমান গণির নামে থাকা এক কোটি ৮০ লাখ ও স্ত্রীর নামে থাকা দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ২৭০ ভরি স্বর্ণালংকার রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করে।
স্বামীকে ‘দুর্নীতিতে সহযোগিতা’ করার অপরাধে ওসমান গণির স্ত্রী মহসিন আরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ে বিরুদ্ধে ওসমান গণি হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আগের রায় বহাল রাখে। তবে মহসিন আরা পলাতক থাকায় তিনি আপিল করেননি।