এদিকে, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় নিম্নাঞ্চেলের বন্যাদূর্গত মানুষের দুর্ভোগ চরমে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং কাজিপুর পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘস্থায়ী এ বন্যার কারণে পানিবন্দী লাখ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বন্যাদূর্গত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট।
এদিকে, শনিবার ও রবিবার দুই দিনে যমুনার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার সহায় সম্বল হারিয়ে এখন মানবেতন জীবনযাপন করছে।
ভাঙন প্রতিরোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড দিনরাত জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেললেও সময়মত কাজ না করাকেই দায়ী করছেন ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা।
তাদের অভিযোগ, লোক দেখানো এ ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্থতের সর্বনাশ হলেও পাউবো’র কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের পোয়াবারো।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম জানান, ধীরগতিতে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয় দফার এ বন্যায় জেলার ৬ উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২৫০ গ্রামের প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও জানান, বন্যাদূর্গতদের জন্য এ পর্যন্ত ২৬৭ মেট্টিক টন চাল, ৩৯৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া শিশুখাদ্য ও গবাদিপশুর খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা ইতোমধ্যেই বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।